এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণের জন্য যে ‘নীতিগত’ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার, তার থেকে সরে আসার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই, তৃণমূল সাংসদ ও লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর৷
গত ১৭ জুলাই লোকসভার অধিবেশনে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন সুদীপ৷ সংসদীয় আইনের ৩৭৭ ধারায় করা প্রশ্নের লিখিত উত্তরে সাংসদকে চিঠি পাঠিয়ে সরকারের অবস্থান জানিয়েছেন অনুরাগ ঠাকুর, যেখানে এয়ার ইন্ডিয়া সহ আরও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার বিলগ্নিকরণের কথা তিনি বলেছেন৷ তবে অন্য কোন কোন সংস্থার বিলগ্নিকরণ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার, তাদের নাম জানানো হয়নি ওই চিঠিতে৷
এদিকে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে কংগ্রেস, তৃণমূল ও বামেরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বার মুখ খুলেছেন মোদী সরকারের বিলগ্নিকরণ নীতির বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি এ প্রসঙ্গে আক্রমণ করেছেন সরকারকে। আর তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছেন, ‘এয়ার ইন্ডিয়া হল আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও গৌরবের প্রতিষ্ঠান। আমরা এই প্রতিষ্ঠানের বিলগ্নিকরণের বিরুদ্ধে’। বিরোধিতা যে চলবে তা সুদীপের মন্তব্যে পরিষ্কার।
বিজেপি তথা এনডিএ বরাবরই বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের পক্ষে। অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায় শুধুমাত্র বিলগ্নিকরণের জন্যই আলাদা একটা মন্ত্রক তৈরি করা হয়েছিল। মোদী সরকারে তেমন কোনও স্বতন্ত্র মন্ত্রক নেই। তবে এ দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার যতগুলি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার উপস্থিতি রয়েছে, ততগুলি ক্ষেত্রে আর রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই এই সরকার মনে করছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, যে সব ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই ‘প্রতিযোগিতামূলক বাজার’ তৈরি হয়ে গিয়েছে, সেই সব ক্ষেত্রে সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার থাকার প্রয়োজন যে নেই, এটা বুনিয়াদী আর্থিক নীতি এবং সেই অনুযায়ীই কৌশলগত বিলগ্নিকরণের পথে সরকার হাঁটছে।