এক সমীক্ষায় দেখা গেছে এই দেশের গৃহহীনদের প্রায় ৮৬ শতাংশ হিন্দু। মানুষ গৃহহীন। তাই যদি হয় তবে প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার সুফল কোথায়? বাড়ি গুলো পেল কারা? গৃহহীনদের বেশির ভাগই আমরা ভিক্ষুক ধরে নিই৷ উপযুক্ত জীবিকার সন্ধান না পাওয়ার জন্যও নিজের বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছেন অনেকে। গৃহহীনদের ৭৯ শতাংশই জীবিকার কারণে উচ্ছেদ হয়েছেন। ইন্দো গ্লোবাল সোশ্যাল সার্ভিস সোসাইটি নামে এক সংস্থার সমীক্ষায় এই তথ্য জানা গিয়েছে।
রাজধানী দিল্লীর ১৯৩ টি হোমলেস শেল্টারে আলাদা করে সমীক্ষা করেছিল ওই সংস্থা। তাতে দেখা যায়, পথবাসীদের জন্য নির্মিত ওই শেল্টার হোমগুলিতে বেশি লোকের থাকার জায়গা নেই। পথবাসীদের মধ্যে যাঁদের শারীরিক কোনও প্রতিবন্ধকতা আছে, তাঁদের থাকার পক্ষে ওই শেল্টার হোমগুলি আদৌ উপযুক্ত নয়।
বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রের ১৫ টি শহরে গৃহহীনদের সম্পর্কে ওই সংস্থা তথ্য সংগ্রহ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, গৃহহীনদের জীবন আর দারিদ্র সমার্থক। তাঁরা সমাজের মূলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন, তাঁদের আত্মপরিচয় নিয়ে সংকট আছে, তাঁরা নানাভাবে শোষণের শিকার। তবে কি মোদী জমানায় মানুষ আরো দরিদ্র হচ্ছে! গৃহহীনদের ৪৬ শতাংশের বয়স ৩৫-এর নীচে। তাঁদের যথাযথ জীবিকা নেই। শিক্ষালাভ বা পেশাগত যোগ্যতা বাড়ানোর কোনও সুযোগও তাঁরা পান না। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের উপযুক্ত কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা আরও কম। পথবাসীদের ৮৬.৬ শতাংশ ধর্মে হিন্দু। মুসলিমরা আছেন ৭.৮ শতাংশ ও খ্রিস্টানরা পাঁচ শতাংশ। এদিকে এই দেশেই হচ্ছে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি, অসহিষ্ণুতা, মানুষে মানুষে বিভেদ। আদতে মোদী সরকারের জমানায় মানুষ ভালো নেই।
গৃহহীনদের ৬৬.৪ শতাংশের আধার কার্ড আছে। ৩৭.৩ শতাংশের আছে রেশন কার্ড, ৩৯.৫ শতাংশের আছে ভোটার আইডি কার্ড ও ২৭.৭ শতাংশের আছে পাসবুক।