আসামে এনআরসি তালিকা বের করার পর থেকেই তটস্থ গোটা দেশ। কোন রাজ্যের ঘাড়ে এইবার এনআরসির খাঁড়া পড়বে সেই নিয়ে চিন্তিত। এর মধ্যেই বাংলায় এনআরসি করার পক্ষে বারবার সওয়াল করছেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এইবার ফের একবার এনআরসির পক্ষে সওয়াল করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
শনিবার সল্টলেকে দলের মহিলা মোর্চার এক কর্মশালায় কৈলাস বলেন, “এনআরসি লাগু করব। বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের বাইরে বের করার কাজ আমরাই করব।” ক’দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি লাগু হচ্ছে, এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। এরপর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বাংলায় এনআরসির পক্ষে সওয়াল করে চলেছেন।
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ কেন প্রয়োজন ছিল সেটা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে রাষ্ট্রীয় একতা অভিযান সারা দেশজুড়ে শুরু করেছে বিজেপি। এদিন সেই ৩৭০ ধারা বিলোপ প্রসঙ্গেই সল্টলেকে মহিলা মোর্চার কর্মশালা ছিল। যেখানে কৈলাস ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, মুকুল রায়, সুব্রত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বিজয়া রাহাতকর ও রাজ্য সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা এনআরসির বিরোধিতা করে যাচ্ছেন। বাংলার মানুষের জন্য এই এনআরসি যে খুব ভয়াবহ চিত্র নেবে তা আসামের বর্তমান অবস্থা থেকেই স্পষ্ট।