বেশিদিন হয়নি টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছে। তাঁর মধ্যেই বল হাতে নিজের জাদু দেখাতে শুরু করেছেন ইংল্যান্ডের জোফ্রা আর্চার। তা দেখেই অবিভূত ক্রিকেট বিশ্ব। এই কয়েকদিনের মধ্যেই ইংল্যান্ডের সেরা সেরা বোলারদের সঙ্গে একই সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে তাঁর নাম। তাঁর ছন্দে বিশ্ব মেতেছে। বলের গতিতে বিপক্ষ ব্যাটসম্যানেরা দিশেহারা।
মাত্র ৭ ইনিংস হাত ঘুরিয়ে ২২টি উইকেট তাঁর ঝুলিতে। অসাধারণ বোলিং গড়। ১৭.২৭। এক ইনিংসে দুবার ৬ উইকেট নিয়ে ফেলেছেন এখন পর্যন্ত। তাঁর সেরা বোলিং ফিগার ৪৫ রানে ৬ উইকেট। বিস্ময়কর এক প্রতিভার কেরামতিতে চমৎকৃত বিশ্ব। সে সঙ্গে তিনি জায়গা করে নিলেন বেডসরের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে।
অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সর্বকালের সেরা পাঁচ বোলারের গড়ের তালিকায় উঠে এলেন আর্চার। শুধু তাই নয় একেবারে দ্বিতীয় স্থানে নিজের নাম লেখালেন তিনি। ১৬.০৬ গড়ে প্রথম স্থানে আছেন অ্যালেক বেডসর। ১৯৫০ সালের এই রেকর্ড এখনও অক্ষত। ১৯৫৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজে অ্যালেক বেডসরের গড় ছিল ১৭.৪৮। যা তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে। চতুর্থ স্থানে আছেন টম রিচার্ডসন। ১৮৯৬ সালের অ্যাসেজ সিরিজে এই কিংবদন্তির বোলিং গড় ছিল ১৮.২৯। পঞ্চম স্থান আলোকিত করে আছেন আরেক ইংরেজ কিংবদন্তি হ্যারাল্ড লারউড। ১৯৩২-৩৩ এর অ্যাসেজে এই তারকার বোলিং গড় ছিল ১৯.৫১।
স্বভাবতই ১৯৫৩ সালের পর থেকে ইংল্যান্ডের মাটিতে বহু প্রতিভাবান ও তাবড় তাবড় বোলারের জন্ম হয়েছে। দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তাঁরা। তবে কোনোভাবেই এই তালিকায় আসেননি তাঁরা। প্রায় ৬৬ বছর পর জীবনের প্রথম অ্যাসেজেই নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করে নিলেন জোফ্রা আর্চার।