দক্ষিণ কলকাতার হেভিওয়েট পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো। মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এই পুজো প্রতিবারই থিমের পুজোকে গুণে গুণে গোল দিয়ে জয়ী করে দুর্গাপুজোর সাবেকিয়ানাকে। গত বেশ কয়েকবছর ধরে একডালিয়ার পুজোর মুখ্য আকর্ষণ ছিল প্যান্ডেলের বিশালাকৃতি ঝাড়লন্ঠন। গতবার তার সঙ্গে যোগ হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় চাঁদমালা ৷ যা দেখতে ঢল নেমেছিল লক্ষাধিক দর্শনার্থীর। আর এ বছর ৭৭ তম বর্ষে পা দিয়েও আক্ষরিক অর্থেই এভারগ্রিন একডালিয়া। এবার তাদের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে হিমাচল প্রদেশের সোলানের জাটোলি শিবমন্দিরের আদলে।
একডালিয়া এভারগ্রিন দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক শ্রী গৌতম মুখোপাধ্যায় জানান, একডালিয়ার পুজোয় থিম থাকে না। সাবেকি ভাবেই মাতৃমূর্তি পুজো হয়। যেভাবে আদিকাল থেকে মাতৃমূর্তির বর্ণনা দিয়ে আসা হয়েছে সেভাবেই। আমাদের এবারের মণ্ডপটি তৈরি হচ্ছে হিমাচল প্রদেশের সোলান বলে একটি জায়গা আছে, সেখানের জাটোলি শিবমন্দিরের অনুকরণে। মন্ডপ সজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন আশীর্বাদ ডেকরেটরের শিল্পী তুহিন মইয়া। এবং প্রতিমা গড়ছেন শিল্পী সনাতন রুদ্রপাল। এছাড়াও চন্দননগরের আলোকসজ্জা এবং অনেক নতুন চমক থাকবে। গতবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় ৩২ ফুট চাঁদমালা দেখতে যেমন গড়িয়াহাট চত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন মানুষ, এবারও যে তার অন্যথা হবে না তা বলাই বাহুল্য।