নিজস্ব শিপইয়ার্ড নেই আদানি গোষ্ঠীর। তারপরেও নৌ বাহিনীর ৪৫ হাজার কোটি টাকার সাবমেরিন প্রোজেক্টের জন্য বরাতের দৌড়ে শেষ মুহূর্তে ঢুকে পড়ল তারা। ফাইনাল বেল পড়ার ঠিক আগে নাটকীয়ভাবে আদানিদের এমন প্রবেশ দেখে হতবাক অন্যান্য অংশগ্রহণকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদীর মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের অন্তর্গত এই সাবমেরিন প্রোজেক্টকে সামরিক ক্ষেত্রের সবচেয়ে বড় চুক্তি হিসেবে ধরা হচ্ছে।
এর আগে আদানি গোষ্ঠী দেশের ৬ টি বিমানবন্দর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের বরাত পেয়েছে। বিমানবন্দর পরিচালনার পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও আদানি গোষ্ঠীর বরাত পাওয়ার তীব্র বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি অবধি লিখেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আদানিদের বরাত পাওয়া আটকায়নি। এবারও নিজস্ব শিপইয়ার্ড না থাকা স্বত্বেও মোদী-ঘনিষ্ঠ আদানি এই প্রজেক্টের বরাত পেতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন অন্যান্য সংস্থাগুলি।
শুধু প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রই নয়, দেশের খনি শিল্পেও আদানি গোষ্ঠীর অংশীদারি ক্রমবর্ধমান। অভিযোগ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগঢ়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় বনভূমি সাফ করে খনি প্রকল্পের নির্মাণ চালাচ্ছেন গৌতম আদানি। এমনকী আদিবাসী অধ্যুষিত বনভূমিতে খনির কাজ চালাতে আদানি গোষ্ঠী প্রশাসনকেও নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও অভিযোগ উঠছে। আদানিদের খনি প্রকল্পের বিরোধিতা করে দান্তেওয়াড়ায় আদিবাসী বিক্ষোভের মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে ছত্তিসগঢ় সরকার। খনির কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে আদানি গোষ্ঠীকে। এবার সেই আদানি গোষ্ঠীর নাটকীয় প্রবেশ সামরিক ক্ষেত্রে।
সূত্রের খবর, আদানি গোষ্ঠী এই প্রকল্পের জন্য হিন্দুস্থান শিপইয়ার্ড লিমিটেডের (এইচএসএল) সঙ্গে যৌথভাবে স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিভি) তৈরি করতে পারে। সাবমেরিন মেরামতির অভিজ্ঞতা রয়েছে সরকারি সংস্থা এইচএসএলের। তবে মজার ব্যাপার হল, সাবমেরিনের বরাত পাওয়ার দৌড়ে রয়েছে এইচএসএল-ও।