হাতে আর মাত্র একমাস বাকি। তারপরই বিধানসভা নির্বাচন হরিয়ানায়। অক্টোবরে শুরু হয়ে যা চলবে নভেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই দলের শীর্ষ নেতাদের মাথাব্যথা বাড়িয়েছেন বিজেপি সাংসদরা। ১০ সাংসদের মধ্যে অন্তত ৮ জন চাইছেন, বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়দের টিকিট দেওয়া হোক।
প্রসঙ্গত, বিজেপি বরাবরই পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী থেকে মনোহরলাল খট্টর- বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে পরিবারতন্ত্রের জন্য টার্গেট করেছেন। এখন দলের সাংসদরা তাঁদের পরিবারের লোকেদের প্রার্থী করতে চাওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে সারা দেশের সঙ্গে হরিয়ানাতেও বিপুল সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। রাজ্যের ১০ আসনই তাদের দখলে দলের সাংসদরা মনে করছেন, মোদী আর মনোহরলাল খট্টরের নেতৃত্বে তাঁদের ছেলেমেয়ে, আত্মীয়দের সহজেই জয় পাওয়া সম্ভব। এই অবস্থায় সোনিপতের বিজেপি সাংসদ রমেশ কৌশিক তাঁর পুত্রকে প্রার্থী করতে চাইছেন। কুরুক্ষেত্রের সাংসদ নায়েব সিং সোনি তাঁর স্ত্রীকে বিধানসভায় প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান।
আবার আম্বালার সাংসদ রতনলাল কাটারিয়াও চান, তাঁর স্ত্রী বান্টো কাটারিয়াকে হরিয়ানা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করুক দল। সক্রিয় কর্মী হিসেবে বান্টো কাটারিয়া বিজেপির পরিচিত মুখ। অন্যদিকে, ভিওয়ানি-মহেন্দ্রগড়ের সাংসদ ধর্মবীর সিংও চাইছেন যে তাঁর ভাইকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করুক দল।
সাংসদরা আত্মীয়দের টিকিট দিতে চাইলে, রাজ্যের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাই বা পিছনে পড়ে থাকবেন কেন? সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষণপাল গুর্জরও পুত্রের টিকিটের জন্য দরবার করেছেন। আরও এক রাষ্ট্রমন্ত্রী রাও ইন্দ্রজিৎ সিং তাঁর কন্যাকে প্রার্থী করার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের ৯০ আসনের প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে অথৈ জলে পড়তে হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে।