একটা সময় পর্যন্ত রাজ্যবাসীর দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ ছিল লোডশেডিং। কিন্তু ক্ষমতায় এসেই বাম-রাজত্বের সেই ‘অন্ধকার যুগের’ ইতি ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাম্প্রতিক কালে এ রাজ্যে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত। শুধু তাই নয়। এবার জানা গেল, সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে বিদ্যুতে বছরে গড়ে ১,০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় মমতা সরকার। বুধবার এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মাসিক ৩০০ ইউনিটের নীচে বিদ্যুৎ খরচের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের এই ভর্তুকি দেওয়া হয় বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
রাজ্যে বিদ্যুতের চড়া মাশুলের অভিযোগ এনে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। তাদের দাবি, দেশের অনেক রাজ্যের থেকে বাংলায় বিদ্যুতের মাশুল খুব চড়া। অবিলম্বে বিদ্যুতের মাশুল হ্রাসের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। এই ইস্যুতে বুধবার দলের যুব মোর্চার আন্দোলনকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে সেন্ট্রাল অ্যভিনিউতে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি যুব শাখার কর্মীরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিকেলে এক বিবৃতিতে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও রকম মাশুল বৃদ্ধি না করেই বিগত ছ’বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যের সর্বত্র উন্নতমানের বিদ্যুত পরিষেবা দিচ্ছে সরকার। রাজ্যবাসীর বোঝা কমানোর জন্য বছরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যুতে গড়ে প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। ৩০০ ইউনিটের নীচে গ্রাহকদের ভর্তুকি দেওয়া হয়। এছাড়া কৃষিকাজে ব্যবহৃত বিদ্যুতেও ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।’ স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎ মন্ত্রীর এই বিবৃতির পর মুখে কুলুপ এঁটেছে গেরুয়া শিবির।