ইউরো কোয়ালিফায়ারে ম্যাচে প্রত্যাশিতভাবেই কসোভোর বিরুদ্ধে জিতেছে ইংল্যান্ড। তবে দুর্বল প্রতিপক্ষকে পাঁচ গোল দিলেও তিন গোল হজম করতে হল হ্যারি কেনের দলকে৷ মঙ্গলবার রাতে সাউদাম্পটনের সেন্ট ম্যারি’স স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে কসোভোর বিরুদ্ধে ৫-৩ গোলে জিতল ইংল্যান্ড। চার ম্যাচের সবকটিতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে রয়েছে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের ফরোয়ার্ড বিশ্বমানের হলেও রক্ষণ অত্যন্ত নিম্নমানের৷ তাই অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তিন গোল হজম করতে হয় গ্যারেথ সাউথগেটের দলকে৷ ম্যাচের প্রথম মিনিটেই নিজেদের ভুলে গোল খেয়ে বসে ইংল্যান্ড। ডিফেন্ডার মাইকেল কিনের ভুল পাসে সতীর্থের পা-ঘুরে বল পেয়ে জোরাল শটে কসোভোকে এগিয়ে দেন মিডফিল্ডার ভালোন বেরিসা।
সমতায় ফিরতে অবশ্য দেরি হয়নি ইংল্যান্ডের। অষ্টম মিনিটে রাহিম স্টার্লিং হেডে স্কোর ১-১ করে থ্রি-লায়ন্স৷ মিনিট দশেক পর ব্যবধান বাড়ায় ইংল্যান্ড৷ ডি-বক্সে এক জনকে কাটিয়ে দলকে এগিয়ে দেন ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন হ্যারি কেইন। প্রথমার্ধের শেষ আট মিনিটের মধ্যে আরও তিন গোল করে ইংল্যান্ড। ৩৮ মিনিটে ডিফেন্ডার ভয়ভোদার আত্মঘাতী গোলে ৩-১ করে থ্রি-লায়ন্স৷ এর পর ৪৪ মিনিটে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম গোল করেন জডন স্যানচো। দু’মিনিটের ব্যবধানে আরও একটি গোল করেন ১৯ বছর বয়সি তরুণ ব্রিটিশ মিড-ফিল্ডার।
বিরতির আগে ৫-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি কসোভো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে দু’ গোল করে লড়াইয়ে ফেরে তারা। ৪৯ মিনিটে সতীর্থের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন বেরিসা। আর মিনিট ছ’য়েক পর পেনাল্টি থেকে স্কোরলাইন ৫-৩ করেন মুরিকি। তবে ইংল্যান্ডের কাছে কাঁটা হয়ে থাকছে তাঁদের রক্ষণভাগ। এই বিভাগে উন্নতি না করলে ভবিষ্যতে ভুগতে হতে পারে হ্যারি কেনদের।