‘বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষ থেকেই এ রাজ্যেও এনআরসি প্রক্রিয়া চালু করতে চাইছে বিজেপি। ধর্মের বিভাজনই এনআরসি’র প্রধান উদ্দেশ্য।’ আসামে পর এবার বাংলাতেও এনআরসি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়। কেন্দ্রের শাসক দলের উদ্যোগকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ফের পথেও নামতে চলেছেন তিনি। এনআরসি রোখার দাবিতে জনমত গঠনে আগামী বৃহস্পতিবার উত্তর কলকাতার চিড়িয়ামোড় থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার আগেই মমতার নির্দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে দিকে দিকে পথে নামল তৃণমূল।
রবিবার শ্রীরামপুরের মাহেশ স্নানপিঁড়ি মাঠ এলাকা থেকে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির মোড় পর্যন্ত প্রায় ৪ কিমি রাস্তা প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেন তৃণমূল কর্মীরা। নেতৃত্বে ছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলে সাংসদ ছাড়াও ছিলেন ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা উত্তরপাড়া পুরপ্রধান দিলীপ যাদব, শ্রীরামপুর পুরপ্রধান অমিয় মুখোপাধ্যায়, রিষড়া পুরসভার পুরপ্রধান বিজয় সাগর মিশ্র ও অন্যান্য কাউন্সিলররা। কল্যাণ বলেন, ‘বাংলা থেকে একটা বাঙালিকেও আমরা সরাতে দেব না। মোদী-শাহর কত বড় হিম্মত, আমরা দেখে নিতে চাই। বিজেপি মূলত বাঙালি বিরোধী দল। গুজরাত-আসামে মস্তানি করে এখন বাংলা থেকে বাঙালিকে হঠাতে চায়। আমরা সেটা কোনও মতেই হতে দেব না। আমরা লড়াই করে এসেছি। লড়াই করব।’
এর পাশাপাশি দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের নেতৃত্বে গতকাল পোলবার আলিনগরেও এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে সরব হন তৃণমূল কর্মীরা। তিনি বলেন, ‘এ রাজ্যে কোনও মতেই এনআরসি চালু করতে দেওয়া হবে না। তার জন্য সমস্তরকম আন্দোলন করতে আমরা প্রস্তুত।’ ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারেও গতকাল এনআরসি নিয়ে তৃণমূলের এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আবার, ভাঙড়-১ নং ব্লকের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ এবং ভাঙড়ের বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লাও ঘটকপুকুর এলাকায় ধিক্কার মিছিল করেন। ঘটকপুকুর বাজারে একটি সভাও করেন তাঁরা। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় সোহাই শ্বেতপুর পঞ্চায়েত থেকে সোহাই বাজার পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। মিছিলের পর একটি পথসভাও অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার উড়িয়াপাড়াতেও রবিবার যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে ধিক্কার মিছিল করা হয়।