নোটবন্দীর জন্যই গাড়ি শিল্পে মন্দা চলছে। এমনই অভিযোগ করল শিল্প মহল।গাড়ির যন্ত্রাংশ শিল্পের সংগঠন অ্যাকমার বার্ষিক সম্মেলনে তাদের অভিযোগ, আসলে ২০১৬ সালে নোটবন্দীর পর থেকে মানুষের হাতে তেমন টাকা নেই। যার বিলম্বিত প্রভাব টের পাচ্ছে সংস্থাগুলি। যদিও শিল্প মহলের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবারই অবিলম্বে বিক্রি না বাড়লে আরও অনেকে কাজ হারাবেন বলে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল গাড়ি শিল্প। অথচ অ্যাকমার সভায় উল্টে শিল্পের কাছেই অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানতে চান, কেন্দ্রের একগুচ্ছ সুবিধা ঘোষণা, ঋণে সুদ কমাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পদক্ষেপ ও নির্মাতা সংস্থাগুলির বড় ছাড় সত্ত্বেও গাড়ির চাহিদা বাড়ছে না কেন? জবাবে নোটবন্দীর তোপ দাগেন যন্ত্রাংশ সংস্থা জিএস অটো লুধিয়ানার জসবীর সিংহ। অনুরাগের প্রশ্নের মাঝেই তাঁকে থামিয়ে বলেন, এটা নোটবন্দীরই বিলম্বিত প্রভাব। তাই এখন কারও হাতে টাকা নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, সভা শেষে শিল্পের হয়ে কথা বলার জন্য জসবীরকে অভিনন্দন জানিয়ে উপস্থিত শিল্প মহলের বাকিরা তাঁর বক্তব্যকে কার্যত সমর্থনই করেছেন।
পরিস্থিতি কিছুটা ‘ঠান্ডা’ করতে অনুরাগ অবশ্য প্রশ্ন তোলেন, গাড়ি শিল্পের দুরবস্থা নোটবন্দীর জের হলে, জসবীর সামনের দিকে এগোবেন কী করে? বরং চাহিদা কমার কারণ হিসেবে অ্যাপ নির্ভর ট্যাক্সি, বৈদ্যুতিক গাড়ি, বিএস-৬ মাপকাঠির নতুন গাড়ি নিয়ে ক্রেতার সংশয় বা অর্থনীতিতে চাহিদার স্বাভাবিক ওঠানামার নিয়ম দায়ী কি না, তা ভেবে দেখতে বলেন।
এ দিন অ্যাকমা ফের গাড়ি শিল্পে জিএসটি কমানোর আর্জি জানিয়েছে। অনুরাগের পরামর্শ, এই আর্জি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদেরও জানানো হোক। কারণ তাঁরা জিএসটি পরিষদের সদস্য। আর কর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় পরিষদই। তবে কেন্দ্রীয় সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি।