বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে ওমানের বিরুদ্ধে কঠিন ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত হার স্বীকার করতে হয় ভারতীয় ফুটবল টিমকে। ৮১ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও শেষ পর্বে দু’টি গোল হজম করতে হয়ে ভারতকে। তারফলে দলের মনোবল কিছুটা ভেঙে গেছে। সেই মনোবল চাঙ্গা করতে এইবার ময়দানে নামলেন ভারতীয় অধিনায়ক। প্রথমার্ধে দুরন্ত খেলার পরেও দলের হারে হতাশ ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তবে তিনি ভেঙে না পড়ে পরের ম্যাচের জন্য সামনে তাকানোর কথাতেই জোর দিচ্ছেন।
তাঁর কথায়,‘মঙ্গলবার আমাদের দোহায় বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে কাতারের মতো সংগঠিত দলের বিরুদ্ধেই খেলতে হবে। এই ম্যাচটি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের গ্রুপে আমাদের কাছে সবথেকে চ্যালেঞ্জিং। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটি থেকে অন্তত একটি পয়েন্ট পেলে আমাদের ভালো লাগত। শেষ পর্বে দু’টি গোল খাওয়ায় ছেলেরা হতোদ্যম হয়ে পড়তে পারে। দোহায় খেলতে নামার আগে এই ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। দ্বিতীয়ার্ধে আমারা বলের নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনামাফিক রাখতে পারিনি। প্রথমার্ধে ম্যাচে যখন আমাদের প্রাধান্য ছিল তখন আরও গোলসংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়া উচিত ছিল আমাদের।’
ভারতীয় ফুটবল টিম শুক্রবার সন্ধ্যায় গুয়াহাটি থেকে দিল্লী পৌঁছেছে। সুনীল ছেত্রী-অনিরুদ্ধ থাপারা শনিবার ভোরে দোহা উড়ে যাবেন। রবিবার ও সোমবার দোহায় অনুশীলন করবে ভারতীয় দল। অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর গলায় গুয়াহাটি ছাড়ার সময়ে আত্মসমালোচনার সুর থাকলেও কোচ স্টিম্যাচ সেই পথে হাঁটেননি। তিনি স্রেফ আশার বাণী শুনিয়েছেন ফুটবলপ্রেমীদের। ক্রোয়েশিয়ান কোচ বলেছেন, ‘এই হারের মধ্যেও অনেক ইতিবাচক দিক আছে। ওমানের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে দুরন্ত খেলেছে ছেলেরা। অনিরুদ্ধ থাপা ও রোলিন বোর্জেসের খেলার ধরন বদলে গিয়েছে। সেকেন্ড বলের জন্য ঝাঁপিয়েছে ওরা এবং অনেক ক্ষেত্রেই দখল নিতে পেরেছে। ওদের দুরন্ত পারফরম্যান্সের জন্যই প্রণয় হালদারের অভাব অনুভূত হয়নি। ম্যাচে যখন প্রাধান্য থাকে তখনই খেলা শেষ করে দিতে হয়। ছেলেরা এটা এখনও শিখতে পারেনি। ভবিয্যতে এই ব্যাপারটি দেখতে হবে। তবে এই দলটি সম্পূর্ণ নতুন। প্রত্যেকের শেখার আগ্রহ আছে। তাই ধাপে ধাপে এগতে হবে আমাদের। আমার হাতে সমমানের অনেক খেলোয়াড়ও আছে। দোহাতেও কাতারের বিরুদ্ধে লড়াকু ফুটবল খেলবে ভারত।’ হারের যন্ত্রনা ভুলে নতুন উদ্যমে মাঠে নামতে পরিকর ভারতীয় টিম।