বউবাজারে বাড়ি ভেঙে পড়ার দিনই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি পরেরদিন মেট্রো কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন। তিনি এমনও বলেছিলেন যে, এই দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। সবাইকে একসাথে মিলে জনগণের সাহায্য করতে হবে।
যদিও তাঁর কথাকে মান্যতাই দিচ্ছে না বিরোধীরা। বিজেপি এই ঘটনায় প্রথম থেকেই রাজনীতির রঙ লাগাতে শুরু করেছে। রাজ্য সরকারের প্রকল্প না হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা দোষ চাপাতে শুরু করেছে বাংলার তৃণমূল সরকারের ওপর। যার ফলে এইমুহূর্তে মেট্রো প্রকল্পের জন্য বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে।
বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, কলকাতা পুরসভার কাছে জল চেয়েছিল কেএমআরসিএল। সেই মতো পুরসভা তাঁদের জল দিয়েওছিল। কিন্তু সেই জল কোথায়, কীভাবে ব্যবহার করা হবে সেব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তাঁরা। বাড়ি বিপর্যয়ের জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করে তিনি বলেছেন ‘খুব বড় অবহেলা মেট্রোর। বড় গাফিলতি।’
এই ঘটনাটি এখন কলকাতায় কর্মরত মেট্রো অফিসারদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। ফলে তাঁরা চেষ্টা করলেও সামলাতে পারছে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী এখনও এই ব্যাপারে উদাসীন। তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ কলকাতার মেয়র। তিনি বলেছেন, ‘রেলমন্ত্রী এখনো এই বিষয়ে উদাসীন কেন বোঝা যাচ্ছে না। দেশের জনগণের কথা ভেবে এবার এখানে আসা উচিত তাঁর। ঘটনাস্থলে এসে রেলমন্ত্রীকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে।’