শুক্রবার বিকালে সাংবাদিক স্মমেলনে ব্যঙ্ক সংযুক্তিকরণের ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তারপর শনি ও রবিবার বন্ধ ছিল শেয়ার বাজার। সোমবার গণেশ চতুর্থীর জন্য বাজার বন্ধ ছিল। এরপর মঙ্গলবার সকালে বাজার খুলতেই আন্তর্জাতিক বাজারে পড়তে শুরু করল ব্যঙ্কের শেয়ার মূল্য।
কর্পোরেশন ব্যঙ্কের শেয়ার মূল্য পড়েছে প্রায় ৯.৩৯ শতাংশ। শেয়ার পিছু দাম হয়েছে ১৭.১০ টাকা। পাঞ্জাব ন্যশনাল ব্যঙ্কের শেয়ারও ৮.৫৪ শতাংশ পড়ে ৫৯.৪০ হয়েছে। একই সঙ্গে পড়েছে কানাড়া ব্যাঙ্কের শেয়ারের দামও। ৭.৫৪ শতাংশ কমে তা হয়েছে ২০৩.৯০ টাকা। গত এক বছরের মধ্যেই এটাই কানাড়া ব্যাঙ্কের সর্বনিম্ন শেয়ার মূল্য। একই রকম গতি প্রকৃতি দেখা গেছে ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার শেয়ারের দামের ক্ষেত্রেও। গত ৫২ সপ্তাহের মধ্যে এ দিন ইউবিআইয়ের শেয়ারের দামও ছিল সর্বনিম্ন,- ৫৪.৯০ টাকা। এ ছাড়াও এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের শেয়ারও এ দিন সামান্য পড়েছে। তবে অন্ধ্র ব্যাঙ্ক এবং সিন্ডিকেট ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম ছিল উর্ধ্বমুখী।
ব্যাঙ্ক মার্জারের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ছোট রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা কম। তাদের ব্যবসার আয়তন কম বলে ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতাও কম। সেই কারণেই তাদের মিশিয়ে দেওয়া হল। আবার অর্থ সচিব রাজীব কুমার বলেছিলেন, নতুন ব্যবস্থায় পূর্বতন ২৭ টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কমে গিয়ে মোট ১২ টি ব্যাঙ্ক হবে। এর মধ্যে কয়েকটি ব্যাঙ্ক তৈরি হবে। বড় ব্যাঙ্ক বিশ্ব বাজারে কারবার করবে, মাঝারি ব্যাঙ্ক দেশীয় বাজারে ব্যবসা বাড়াবে এবং ছোট রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্থানীয় বাজারে কাজ করবে।
কিন্তু ব্যঙ্কের শেয়ার মূল্য কমে যাওয়ায় মাথায় হাত কর্তাদের। আশঙ্কার মেঘ দেখছেন গ্রাহকেরাও।