রবিবারের ডার্বি এখন অতীত কিবু ভিকুনার সাজানো বাগানে। ডার্বি না জেতার আক্ষেপ মন থেকে ঝেড়ে ফেলে কলকাতা ফুটবল লিগের পরের ম্যাচের জন্য দলকে তৈরি করায় মন দিয়েছেন মোহন কোচ। পরপর ম্যাচ এবং ডার্বি খেলার শারীরিক ও মানসিক চাপ কাটাতে ৯০ মিনিট লড়াইয়ে অংশ নেওয়া ফুটবলারদের গতকাল বিশ্রাম দিয়েছিলেন ভিকুনা। যাঁরা ডার্বি খেলেননি, তাঁদের নিয়ে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। সেই দলে ছিলেন সালভা চামোরোও।
রবিবার ডার্বি শেষে অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন, চামোরোকে কেন ভিকুনা ব্যবহার করলেন না? ভিকুনার মতে, ‘ডার্বিতে যেভাবে খেলা জরুরি ছিল, তাতে চামোরোকে রাখা সম্ভব ছিল না। গোলা না পেলেও ওর জায়গায় সুহের খুব ভাল খেলেছে। সুহের নজর কেড়েছে ওর পরিশ্রমী ও গোল করার আগ্রাসী মনোভাবের জন্য। আরেকটু উন্নতি করলে ও কিন্তু অনেকের ঘুম কাড়বে।’
তবে ভিকুনা এদিন ভূয়সী প্রশংসা করলেন শেখ সাহিলের। তিনি বলেছেন, একেবারে বাচ্চা ছেলে। কিন্তু খেলা দেখে তা বোঝার উপায় নেই। ও প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে। গড়পড়তা ফুটবলারদের তুলনায় ও অনেক শক্তপোক্ত চেহারার, লড়াকু। ক্লিন ট্যাকল করে। টেকনিক্যালি খুব ভাল। তবে ট্যাকটিক্যালি আরও উন্নতি করা দরকার।
এমনিতেই স্বল্পভাষী, অন্তর্মুখী চরিত্রের ফুটবলার সাহিল। কোচের মুখে প্রশংসা শুনে আরও যেন গুটিয়ে গেলেন দ্বাদশ শ্রেণীর এই ছাত্র। যিনি চলতি মরশুমে বাগানের সেরা আবিষ্কার। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড পজিশনে দক্ষতার সঙ্গে খেলে মেহতাবকে মনে করাচ্ছেন তিনি। অনূর্ধ্ব ১৯ লিগে স্টপারে খেলেছিলেন মোহনবাগান আকাদেমির সাহিল। ভিকুনা তাঁকে ডুরান্ড ও কলকাতা লিগের ম্যাচে নতুন পজিশন দিয়েছেন। সাহিলের কথায়, ‘নতুন এই পজিশনটা দারুণ উপভোগ করছি। স্টপারের থেকেও ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে বেশি করে মেলে ধরতে পারছি। তার জন্য কোচ ভিকুনার অবদান সবচেয়ে বেশি। একইসঙ্গে সতীর্থ দেশি ও বিদেশি ফুটবলারদের পরামর্শ ও উৎসাহ কাজে লেগেছে।’
কোচের কাছে সাহিল আরও বেশি কৃতজ্ঞ ডার্বি খেলার সুযোগ দেওয়ায়। বলেন, ভাবেননি দলে এত ফুটবলার থাকতে এত কম বয়সে ডার্বি খেলবেন। বলছেন, ‘কোচ আস্থা রেখেছেন বলেই সম্ভব হয়েছে। এত দর্শকের সামনে খেলতে নামার আগে একটা স্নায়ুচাপ ছিল। তবে খেলার শুরুর মুহূর্ত থেকে সেটা কেটে যায়। সেরাটা দেওয়া ছাড়া আর কিছু মনে ছিল না।’ তিনি কৃতজ্ঞ বাগান সমর্থকদের কাছেও। বলছেন, কোচ-সতীর্থদের পাশাপাশি সমর্থকরাও যেভাবে আমায় সাপোর্ট করছে তা কোনোদিন ভুলব না। আমি খেলার মাধ্যমেই ওদের ভালোবাসার প্রতিদান দেব।