সোশ্যাল মিডিয়ার নয়া সেনসেশন রানাঘাটের রাণু মণ্ডল৷ স্টেশনের ধুলোমাখা জীবন থেকে যে সোজা উঠে এসেছেন গানের দুনিয়ায়৷ আর সেই ইস্তক উনি সংবাদ মাধ্যমে জানাচ্ছেন ওনার পূর্ব জীবনের কথা৷
তিনি জানিয়েছেন, এর আগে বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক, অভিনেতা ফিরোজ খানের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন রানু। ফিরোজ খান তাঁর ছেলে ফারদিন খান এবং ভাই সঞ্জয় খানের দেখভালের কাজ করতেন রানু মণ্ডল। তাঁদের ঘর পরিষ্কার থেকে শুরু করে তাঁদের সময় মতো খাবার দেওয়া, রান্না করা, সব কাজই করতে রানু মণ্ডল।
এখানেই শেষ নয়, বিখ্যাত বলিউড অভিনেতা ফিরোজ খান তাঁকে নিজের পরিবারের সদস্য হিসেবেই মনে করতেন। ফিরোজ খানের বাড়িতে রান্না করতেন তাঁর স্বামী। তিনিও সেখানেই থাকতেন। তাঁদের নিজের পরিবারের সদস্য বলেই মনে করতেন ফিরোজ খান, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। এসব শুনে রীতিমতো চমকে উঠছেন অনেকেই।
এরই মধ্যে তাঁকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের৷ সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে রাণুকে প্রশ্ন করা হয়, এই যে অতীন্দ্রের মতো মানুষের দৌলতে তিনি এত জায়গায় যাচ্ছেন, এ নিয়ে তিনি কী বলবেন? এতেই সঙ্গে সঙ্গে রাণু বলে ওঠেন, “ভগবানের দৌলতে যাচ্ছি। ওরা ভগবানের সারভেন্ট, চাকর। আমি ওদের সাহায্যে যাচ্ছি না। ভগবানের সাহায্যে যাচ্ছি। ওরা ভগবানের চাকর হয়ে যাচ্ছে।”
এই সবের মধ্যেই সামনে এল আরও একটি ভাইরাল ভিডিয়ো যেখানে দাবি করা হয়েছে রাণুর গান শুনে অভিভূত লতা মঙ্গেশকর তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানেই দেখা যাচ্ছে ছোট্ট একটি ছবি যেখানে রাণুর মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করছেন লতা। বলা বাহুল্য ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা এই ছবি একেবারেই ভুয়ো এবং ফটোশপে এডিট করা। মানুষকে বোকা বানানোর পন্থা এটি। পাঠকরা সামান্য মন দিয়ে ছবিটি খুঁটিয়ে দেখেন, তাহলেই বুঝবেন অন্য কারও শরীরে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে রানু মন্ডলের মুখ। এই ছবির কোনো সত্যতা নেই।