মোদী সরকারের গৃহীত নীতিতে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে। এই সরকারের অন্যতম সিদ্ধান্ত নোটবন্দির ব্যর্থতা নানা দিক থেকেই উঠে আসছে৷ কারণ পুরনো নোট বাতিল করে নতুন নোট ইস্যু করা হলেও জাল নোটকে আদৌ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না এই সরকার৷
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাংকের রিপোর্ট জানাচ্ছে ২০১৮-১৯ সালে তার আগের বছরের তুলনায় নতুন ৫০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা বেড়েছে ১২১ শতাংশ এবং ২০০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা বেড়েছে ২১ শতাংশ ৷ রিজার্ভ ব্যাংকের বৃহস্পতিবার বের করা এক রিপোর্ট থেকে এই তথ্য জানা গিয়েছে ৷
তাছাড়া ২০১৭ সালে আগস্টে ইস্যু করা ২০০ টাকার নোটের ক্ষেত্রে জাল নোট পাওয়া গিয়েছে ১২,৭২৮টি যেখানে তার আগের বছর অমন জাল নোট মিলে ছিল ৭৯টি বলে জানাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাংক৷ তাছাড়া রিজার্ভ ব্যাংক লক্ষ্য করেছে জাল ১০ টাকা,২০ টাকা এবং ৫০ টাকার নোটের সংখ্যা বেড়েছে যথাক্রমে ২০.২ শতাংশ, ৮৭.২ শতাংশ এবং ৫৭.৩ শতাংশ৷ ২০১৮-১৯ সালে মোট ধরা পড়া জাল নোটের মধ্য ৫.৬ শতাংশ পেয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক এবং বাকী ৯৪.৪ শতাংশ পেয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক৷
প্রায় তিন বছর আগে এক সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন৷ সেদিন প্রধানমন্ত্রী যুক্তি দেখিয়েছিলেন, দেশ থেকে কালো টাকা উদ্ধার করতে এবং জাল নোট ধরার জন্যই এমন পদক্ষেপ৷ কিন্তু এবার রিজার্ভ ব্যাংকের রিপোর্ট থেকে ইঙ্গিত মিলেছে পুরনো বাতিল করে নতুন ডিজাইনের নোট এনেও নোট জাল করা আটকানো যায়নি৷ উল্টে ধীরে ধীরে এই জাল নোটের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ মোদীর উদ্দেশ্য ব্যর্থতার মুখ দেখছে বারবার।