বিধানসভায় পাস হয়ে গেল গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল। এই বিল পাসের মধ্যে দিয়ে বাংলায় নবজাগরণের ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার বিল পাসের আগে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট বিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র এখনও সেই বিল করে উঠতে পারেনি। দেশের মধ্যে প্রথম গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল পাস হল’। রাজস্থান সরকার বিল আনলেও তা পাস করাতে পারেনি বলে বিধানসভায় জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গণপিটুনি রুখতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে সমাজ সচেতনতা গড়ে তোলার কথা বলেন তিনি। গণপিটুনিতে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারবর্গের কথা সরকার ভাববে বলে আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন গণপিটুনি প্রসঙ্গে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইন হাতে তোলার অধিককার কারও নেই। কোনও অভিযোগ পেলে পুলিশে জানান। গণপিটুনি রুখতে কেন্দ্র, রাজ্য, পুলিশ সবাইকে একযোগে লড়তে হবে। তবে কেন্দ্র এখনও কোনও বিল আনেনি। অন্য কোনও রাজ্যও এখনও বিল আনেনি। এখনও বিল করেনি দেখে, কেউ করবে না, এটা তো হতে পারে না। কাউকে তো করতে হবে। দেশ যখনই সঙ্কটে পড়েছে, তখনই বাংলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাংলার সরকার এই বিল প্রণয়ন করেছে’।
বিল পাস প্রসঙ্গে বিধবা বিবাহ প্রচলনের তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলা সবসময় সদর্থক পদক্ষেপ নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে দেশের বাকি রাজ্যের কাছ থেকে বাংলা কতখানি এগিয়ে তা বোঝাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গণপিটুনি মানে কী? আমি অনেক রাজ্য থেকে রেকর্ড চেয়েছিলাম। কিন্তু কোথাও কোনও রেকর্ড নেই’। গণপিটুনি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিতে কিছু ‘ফাঁক’ রয়েছে বলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অত্যন্ত কড়া এই আইন। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ রুখতে এই আইন তৈরি করা হয়। ধর্মের ভেদাভেদ থেকে সচেতন করতে হবে মানুষকে।