মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলে থাকেন যে ‘এগিয়ে বাংলা’। এই তথ্য যে একেবারে নির্ভুল, আবারও মিলল তার প্রমাণ। এই মুহূর্তে গোটা দেশজুড়েই অর্থনৈতিক মন্দার বাজার। গাড়ি বাজারে নেমেছে বিরাট ধস। প্রায় দিন শেয়ারের বাজারের সূচক নিম্নগামী। জিডিপির নিরিখে বিশ্ববাজারেও পিছিয়ে পড়েছে ভারত। কিন্তু দেশের অর্থনীতির এই বেহাল দশার মধ্যেও এ রাজ্যে বেড়েছে জিডিপির হার। এই বৃদ্ধির পরিমাণ ১২.৫৮ শতাংশ। যা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশি।
গীতারানি জিডিপির হার নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন মন্ত্রক যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে বৃদ্ধির হার এইরকম। ক্রমানুসারে পশ্চিমবঙ্গে জিডিপি বৃদ্ধির হার ১২.৫৮ শতাংশ, এরপর অন্ধ্রপ্রদেশ ১১.০২ শতাংশ, বিহার ১০.৫৩ শতাংশ, তেলেঙ্গানা ১০.৫০ শতাংশ, কর্ণাটক ৯.৫৩ শতাংশ, পুদুচেরি ৮.৬৮ শতাংশ, দিল্লী ৮.৬১ শতাংশ, উড়িষ্যা ৮.২৬ শতাংশ, হরিয়ানা ৮.১৯ শতাংশ, তামিলনাড়ু ৮.১৭ শতাংশ, হিমাচল প্রদেশ ৭.৩৪ শতাংশ, রাজস্থান ৭.৩৩ শতাংশ, সিকিম ৭.০৫ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশ ৭.০৪ শতাংশ, ঝাড়খণ্ড ৬.৯৯ শতাংশ, উত্তরাখণ্ড ৬.৮৭ শতাংশ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশ ৬.৪৬ শতাংশ, ছত্তিশগড় ৬.০৮ শতাংশ, পাঞ্জাব ৫.৯১ শতাংশ, গোয়া ০.৪৭ শতাংশ।’
অন্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যে জিডিপি বৃদ্ধির হারের কারণ জানাতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৭–১৮–এ পরিকল্পনা খাতে খরচ হয়েছিল ৫৭.৭৭৯ কোটি টাকা। ২০১৮–১৯ সালে সেটা বেড়ে হয়েছে ৭১.১১৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এ রাজ্যে ২০১৭–১৮ সালে মূলধনী ব্যয় ছিল ১৯.০৮৫ কোটি টাকা। সেখানে ২০১৮–১৯ সালে সেটা বৃদ্ধি হয়েছে ২৩.৭৮৭ কোটি টাকা। বৃদ্ধি ২৫ শতাংশ। ২০১৭–১৮ সালে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে ২৬.৩৯১ কোটি টাকা। সেটা ২০১৮–১৯ সালে বৃদ্ধি হয়েছে ৪৬.৯৬ কোটি টাকা। বৃদ্ধির পরিমাণ ৭৫ শতাংশ।