এবার নিউটাউনে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে বেশকিছু নিয়ম কার্যকর করতে চলেছে রাজ্য সরকার। শহরে বজ্রপাতের পরিমাণ আগের থেকে অনেকাংশে বেড়েছে। এমনই জানা গেছে বিশেষজ্ঞদের গবেষণায়। যা রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে রাজ্যকে। তাই নিউটাউনের প্রত্যেকটি বাড়িতে বজ্রনিরোধক বসাতে হবে, এমনই নির্দেশ গিয়েছিল সরকারের তরফে। আর এবার বাড়িতে গাছ বসানোর নির্দেশ গেল সরকারের তরফে।
নিউটাউনে বাড়ি তৈরি করতে গেলে এরকমই বেশকিছু নিয়ম বাধ্যতামূলক হতে চলেছে। আর এইজন্য নিউটাউন কলকাতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনকেডিএ) নিজেদের নিয়মেও বদল আনতে চলেছেন। এই উপনগরীতে গাছের সংখ্যা বাড়াতেই এই উদ্যোগ। অন্যদিকে, গাছ লাইব্রেরিতে খোলা আকাশের নীচে গল্পপাঠের আসর বসানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। হিডকো সূত্রের খবর, এবার থেকে নিউটাউনে প্রতি প্লটে গাছ লাগানো বাধ্যতামূলক করা হতে চলেছে।
জানা গেছে, ৮০ স্কোয়্যার মিটারের বেশি আয়তনের প্লটের জন্য অন্তত একটি করে গাছ লাগাতে হবে। এইজন্য আইন সংশোধন করা হবে। বাড়ি তৈরির সময় গাছ লাগানো বাধ্যতামূলক করতে নিউটাউন কলকাতা (বিল্ডিং) আইন ২০০৯ বদল করা হবে। সেই কাজও শুরু হয়ে গেছে। ফলে নতুন নিয়মে নিউটাউন আরও সবুজ হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। হিডকো সেখানে গাছ লাগানর উপর জোর দিয়েছে। সেই সঙ্গে আবাসিকদেরও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে সবুজের অভিযানে।
এর আগে নিউটাউনে তৈরি হতে চলা বাড়িতে বজ্রনিরোধক বাধ্যতামূলক করা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এবার সেখানে গাছের সংখ্যা আরও বাড়াতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। করা হয়েছে গাছ-শুমারিও। ৬ ফুটের বেশি দৈর্ঘ্যের গাছগুলিকে শুমারিতে রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি গাছ লাগানোর ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি বদল আনা হয়েছে। বড়সড় এলাকার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট ছোট জায়গায় গাছ লাগানো হয়েছে।
এছাড়াও নিউটাউনের গাছ লাইব্রেরিতে হবে বই পড়ানোর আসর। যা হবে পুরোপুরি খোলা আকাশের নিচে। তবে সেইজন্য আবহাওয়ার উপর নির্ভর করতে হবে। কারণ খোলা আকাশের নিচে ঝড় জলের মধ্যে সেই কর্মসূচি পালন করা যাবে না। তাই কবে তার আয়োজন করা যেতে পারে, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে সরকারের এই নিয়মকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষরাও।