বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সমস্ত ধর্মের মানুষই সমান। তাই হিন্দুদের জন্যে যেমন তিনি কাজ করেন ঠিক একইভাবে উদ্যোগ নেন মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে। সেই কথাই এবার সরকারি ভাবে স্বীকৃত হল। জানা গেছে দেশে সংখ্যালঘু উন্নয়নের সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে বাংলায়।
সংখ্যালঘু দফতরের চেয়ারম্যান আবু আয়েশ মণ্ডল জানিয়েছেন, বাংলায় সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে মমতা সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্য আছে। তাঁর বক্তব্য, সংখ্যালঘু উন্নয়নের ক্ষেত্রে সারা দেশে প্রথম সারিতে রয়েছে বাংলা। সংখ্যালঘু উন্নয়নে এই রাজ্যেই বেশি কাজ হয়েছে।
আবু জানিয়েছেন, “উন্নয়নের জন্য অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আছে রাজ্য সরকারের। গত দু’বছর সরকারের টাকা দেওয়ার কোনও ঘাটতি আমরা দেখতে পাইনি। তাই আমরা বিডিওদের কাছে জানতে চেয়েছি, সরকার টাকা দিচ্ছে, ডিএম টাকা দিচ্ছেন, আপনার টাকা পাচ্ছেন। সেই টাকা কার্যকর করার ক্ষেত্রে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘাটতি কি থেকে যাচ্ছে? তাঁরা কেউ কেউ এজন্য ভোটের কাজের কথা বলেছেন”। তবে গোটা রাজ্যে সংখ্যালঘু উন্নয়নের কাজ যথেষ্ট ভাল হয়েছে বলে এদিন তিনি জানান।
তিনি আরও জানিয়েছন, ‘সংখ্যালঘুদের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে টাকা বরাদ্দ হয়, সেই টাকা দিয়ে দুঃস্থ ও সর্বহারা মহিলাদের জন্য ঘর তৈরি করা হয়। স্কুল বিল্ডিংয়ের সংযুক্ত ঘর তৈরি করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়া হয়। হস্টেল তৈরি করা হয়। সংখ্যালঘুদের আর্থিক উন্নয়নের জন্য দেওয়া হয় শিক্ষা সংক্রান্ত ঋণ। সেল্ফ হেল্প গ্রুপের জন্যও টাকা দেওয়া হয়। তবে এই টাকাগুলি কীভাবে খরচ হচ্ছে, কত টাকা খরচ হল, কী অগ্রগতি হল, ব্লক ও সাবডিভিশনগুলির কাজ কতদূর এগোলো তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এছাড়া সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, আইন–শৃঙ্খলা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কেমন রয়েছে ইত্যাদি নিয়েও কথা হয়েছে। পাশাপাশি সম্পত্তি থেকে আয় কত হচ্ছে, তা জানতে সরকার সমস্ত জেলায় একজন করে ইনস্পেক্টর নিয়োগ করেছেন। তাঁরা সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে আমাদের রিপোর্ট দেন।’
বুধবার বিডিএ সভাকক্ষে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের এক সভায় উপস্থিত ছিলেন আবু। সেই বৈঠকেই উঠে আসে এই তথ্য। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী, সভাধিপতি শম্পা ধারা, পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।