মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। কিছু মধ্যস্তন ব্যক্তির হস্তক্ষেপে মিড ডে মিলে প্রস্তাবিত খাবার পৌঁছাত না স্কুলে। এই বিষয় নিয়ে এইবার তৎপর হল হুগলী জেলা প্রশাসন। শুধু চুঁচুড়ার বাণীমন্দির নয়। জেলাজুড়ে স্কুলে মিড-ডে মিলে নজর এখন কড়া নজর প্রশাসনের। আগামিকাল হুগলির ১০০০ স্কুল পরিদর্শন করবেন সরকারি আধিকারিকরা। পাশাপাশি জেলাশাসক জানিয়েছেন, বেশকিছু স্কুলে বসবে সিসিটিভিও।
বাণীমন্দির স্কুলে মিড মিলের খাবার নিয়ে জেলা জুড়ে হইচই। খবর পৌঁছয় জেলা শাসকের দফতরেও। এরপরেই বদলে যায় পরিস্থিতি। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্কুলে পৌছন মহকুমা শাসক। মিড ডে মিলের খাবারের কেন এই দুরবস্থা এনিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মহকুমা শাসক। এর কিছুক্ষণ পরেই স্কুলে হাজির ডিআই। তিনিও কথা বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলা শাসক। মিড ডে মিলের খাবারের মান খতিয়ে দেখতে জেলাজুড়ে বুধবারই স্কুলে স্কুলে পরিদর্শনে যাবেন আধিকারিকরা। এমনটাই জানিয়েছেন জেলাশাসক। একইসঙ্গে জেলা শাসক জানিয়েছে বেশকিছু স্কুলে সিসিটিভিও বসানো হবে। মিড ডে মিলের উপর চলবে কড়া নজরদারি।
অন্যদিকে এইদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, মিড ডে মিল নিয়ে কোনও আপোষ করা হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কেন্দ্রও যে মিড ডি মিলের টাকা ঠিকঠাক দিচ্ছে না। সেবিষয়েও অভিযোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার স্কুলে পৌঁছল ২৫০টি ডিম ও রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় মশলা। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা স্কুল পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই মঙ্গলবার ডিম ও মশলা পৌঁছয় স্কুলে।