তাঁর স্বপ্ন দীঘা কেবল পর্যটকদের ঠিকানা হয়ে থাকবে না। ঠিকানা হবে দেশ-বিদেশের নামিদামি সংস্থাগুলিরও। গোয়ার মতো তারাও দীঘাতে আসবে বাণিজ্যিক সম্মেলন করতে। তাই ‘ডেসটিনেশন দীঘা’প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার দীঘাশ্রী-বাংলা কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা জানান তৃণমূল নেত্রী।
একইসঙ্গে দীঘাকে ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সমুদ্রতটের পাশেই পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ পাশাপাশি থাকবে মসজিদ এবং গির্জাও৷
এদিন কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গোয়াতে যেমন বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থা তাদের বিজনেস মিটিং করতে আসে, এখানেও তাই হবে’। বিচের ধারে যাতে কোনও হকার জোর করে বসতে না পারেন, তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। হকারদের জন্য আলাদা স্টল করে দিতে বলেন তিনি। এছাড়াও এদিনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার সতর্ক করে দেন, আন্দোলনের নামে কোনওরকমের ‘ব্ল্যাকমেলিং’বরদাস্ত করবেন না তিনি। দীঘায় যাতে পর্যটকরা এসে বিরক্ত না হন, তার দিকে খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনকে।
দার্জিলিংয়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দার্জিলিং নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ওখানে শুধুই বিক্ষোভ, জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও মানসিকতা। এইভাবে তো আর উন্নয়ন হয় না’। গত বছরের তুলনায় রাজ্যে ৩৪.০১ শতাংশ পর্যটক বেড়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা আরও বলেন, ‘আমি এখনও মনে করি, বেঙ্গল ইজ দ্য সেফেস্ট প্লেস ফর ইন্ডাস্ট্রি। এখানে আমি ধর্মঘট হতে দিই না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে আমাদের। তবুও তাদের বিরুদ্ধে ধর্মঘটে সামিল হই না আমরা’। নাম না করে বিজেপিকে এদিন আরও একবার কটাক্ষ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে যারা মাথায় ফেট্টি বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছ, তাদের আবারও বলে রাখি, আগুন নিয়ে খেলো না’।