নাম পরিবর্তনের রাজনীতি বহুদিন ধরেই করে আসছে বিজেপি। এর আগে জায়গার নাম, স্টেশনের নাম পাল্টে দেওয়া তো ছিলোই। যেমন- এলাহাবাদের নাম পাল্টে প্রয়াগরাজ, মুগলসরাই রেলস্টেশনের নাম পাল্টে দীন দয়াল উপাধ্যায়। এছাড়াও ভাবা হয়েছিল বাংলার বর্ধমান রেলস্টেশন এবং শিয়ালদহ রেলস্টেশনের নামও পাল্টে দেওয়া হবে। যদিও সেটা আর হয়নি। আর এবার দিল্লীর বহু পুরোনো এবং নামী জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে রাখার দাবি জানালেন গায়ক তথা বিজেপি সাংসদ হংস রাজ হংস। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
শনিবার দিল্লির বিখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন উত্তর-পশ্চিম দিল্লি কেন্দ্র থেকে জয়ী সাংসদ হংস রাজ। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা শোনা যায় তাঁর গলায়। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে বাহবা জানিয়ে তিনি বলেন, “৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ায় কাশ্মীর এবার আক্ষরিক অর্থেই স্বর্গে পরিণত হবে। প্রার্থনা করি, সকলে শান্তিতে থাক। ভাল থাক। আমি তো শুধু এটাই চাই যে আর কোনও বোমাবাজি যেন না হয়। কারণ ওই প্রান্তে কারও প্রাণ যাক বা এপ্রান্তে, মারা যান একজন মায়ের সন্তানই।”
তারপর ঘুরিয়ে কংগ্রেসের সমালোচনাও করেন তিনি। গায়কের কথায়, “আমাদের পূর্বপুরুষরা ভুল করেছেন। যার ফল এখন আমরা ভোগ করছি।” আর তারপরই জওহরলাল নেহরুর নাম সরিয়ে মোদীর নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণের পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, “তিনি যা করেছেন, প্রত্যেকেই প্রশংসা করছেন। তাই তো সবাই বিশ্বাস করে মোদী থাকলে সবই সম্ভব। সুতরাং তাঁর নামেও তো কিছু হওয়া উচিত। জেএনইউ বদলে এনএমইউ হয়ে যাক।”
এই বক্তব্যের পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই গায়কের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। তাঁদের মতে, না ভেবেচিন্তে কিছু একটা বলে দিলেই চলে না। জেএনইউ শুধুই একটা নাম নয়, দেশের ঐতিহ্যও। তাই নামবদলের এমন পরামর্শ মূর্খামি ছাড়া আর কিছুই না। আর এটা করতে এলে সেটা বিজেপির পক্ষেও ঠিক হবে না, এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন কেউ কেউ।