গত পরশুদিন থেকেই ভারতের সঙ্গে একের পর এক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে চলেছে পাকিস্তান। আমেরিকা থেকে চাপ প্রয়োগ করার পর চতুর্দিক থেকে কোণঠাসা হয়েছে তারা। তবুও ভেঙে পড়লেও মচকাতে নারাজ পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার সমঝোতা এক্সপ্রেস চলাচল বন্ধ করার পর এদিন থর এক্সপ্রেসও বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ইসলামাবাদ। ফলে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের শেষ যোগসূত্রও কার্যত মুছে গেল বলা চলে।
জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা লোপ করে নেওয়ার কারণে এভাবেই ক্রমশ সম্পর্ক বিষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। উল্লেখ্য, গতকাল দিল্লীতে আসার পথে লাহোরে সমঝোতা এক্সপ্রেসকে অনেকক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪ ঘণ্টা পর দিল্লী পৌঁছোয় সেই ট্রেন। যার জেরে নাকাল হতে হয়েছিল যাত্রীদেরও।
ইতিমধ্যেই দু’পক্ষের বাণিজ্যও বন্ধ করা হয়েছে। ইমরান খান নিজের মন্ত্রিসভার সঙ্গে এক বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত নেন। ৩৭০ ধারা রদ একান্তই ভারতের ব্যক্তিগত ব্যাপার কারণ ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীর ভারতেরই অংশ। কিন্তু তা মানতে না চেয়ে এখন প্রায় জ্বলছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই থেকেই এইসব সিদ্ধান্ত নেওয়া। মনে করা হচ্ছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতির জেরেই থর এক্সপ্রেস বাতিলের মতো ‘একতরফা’ ঘোষণা করল তারা।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের সঙ্গে রেলপথে সবরকম চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। সে দেশের রেলমন্ত্রী শেখ রাশিদ জানিয়েছেন, “আমরা থর এক্সপ্রেসও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যতদিন আমি রেলমন্ত্রী থাকব, ততদিন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আর ট্রেন চলবে না।” প্রসঙ্গত, সমঝোতা এক্সপ্রেস ছাড়াও থর এক্সপ্রেস এমন আরেকটা ট্রেন ছিল যা পাকিস্তানের খোকরাপার ও ভারতের মনাবাওয়ের মধ্যে চলত। এই এক্সপ্রেস বন্ধ হওয়ার ফলে দু’দেশের মধ্যে রেল পথে আর কোনও যোগসূত্রই বেঁচে রইল না বলা চলে।