জম্মু কাশ্মীরের মহিলা ও শিশুদের কথা ভেবে প্রাণ কাঁদছে কনিষ্ঠতম নোবেলজয়ী পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাইয়ের৷ ৩৭০ ধারা রদ করে কাশ্মীরকে টুকরো করার পর সেখানকার মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন ২০১৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী এই পাক তরুণী৷
এই প্রসঙ্গে মালালা ইউসুফজাই বলেন, ‘আমার জন্মের আগে, আমার বাবা-মায়ের শৈশবে , আমার দাদু-দিদিমার তরুণ বয়স থেকে কাশ্মীরিরা সঙ্ঘর্ষ করে আসছেন৷ আমি অন্তত তাই জানি৷ এই সঙ্ঘর্ষে প্রায় লক্ষাধিক সাধারণ মানুষের প্রাণ গেছে৷ এখন যা পরিস্থিতি তাতে সেখানকার মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তার জন্য আমার সত্যি চিন্তা হচ্ছে’৷ উল্লেখ্য ২০১৪ সালে শান্তির জন্য সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পেয়েছিলেন মালাল উইসুফজাই৷
মালালা রাষ্ট্রসঙ্ঘের ইউনিসেফের বিশেষ দূত৷ বর্তমানে তিনি কানাডার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন৷ ৩৭০ ধারা রদের পর ও জম্মু-কাশ্মীর থেকে লাদাখকে বাদ দেওয়ার পরে প্রায় একসপ্তাহ ধরে উপত্যকায় সবরকমের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে৷ সেখানকার জনগণ কী অবস্থায় আছে তা জানতে পারছে না বহির্বিশ্ব৷ এই কথা উল্লেখ করে মালাল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর কথায়, ‘কাশ্মীরে কী চলছে তা আমরা কেউ জানতে পারছি না’৷ বিনা কারণে মেহবুবদের আটকের কড়া সমালোচনা করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ৷