মুখ্যমন্ত্রীর ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির উৎসাহ উদ্দীপনা তত বাড়ছে। ‘দিদিকে বলো’র প্রচারে নেতা–মন্ত্রীদের সঙ্গে পথে নেমে পড়েছেন দলের সাধারণ কর্মী–সমর্থকেরাও। গৃহস্থের উঠোনে পৌঁছে যাচ্ছেন মন্ত্রী–নেতারা। শুক্রবার থেকে কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচির সূচনাও হয়েছে। প্রথম দিনেই সাড়া পড়ে গেছে এলাকায়। যেমন মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর, ডোমকল, কান্দি, বেলডাঙায় এদিন শুরু হয় কর্মসূচি। ডোমকলে যুব নেতা সৌমিক হোসেনের উদ্যোগে পথ চলতি মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয় টিশার্ট, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন নম্বর দেওয়া ভিজিটিং কার্ড, স্টিকার।
এদিন সকাল থেকে কালনা ও কাটোয়া দুই মহকুমা জুড়ে শুরু হয় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। কালনা ১ নম্বর ব্লকের নান্দাই পঞ্চায়েতের নান্দাই গ্রামে হাজির হন যান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। দলের নেতা–কর্মীদের নিয়ে দিনভর এলাকায় ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের নানা সমস্যা মন দিয়ে শোনেন তিনি। যতটা সম্ভব সমাধান করেন। নান্দাই গ্রামে রাত্রিবাস করেন স্বপনবাবু।
আরেক মন্ত্রী তথা মঙ্গলকোটের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি এদিন ‘দিদিকে বলো’ বার্তা ছড়াতে নিজের বিধানসভার সরগ্রাম পঞ্চায়েতের গীধগ্রামে যান। এভাবে নেতা–মন্ত্রীদের নিজেদের বাড়ির দরজায়, উঠোনে দেখে আহ্লাদে আটখানা সাধারণ মানুষ।
বেলডাঙায় রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলমের উদ্যোগে চলে এই কর্মসূচি। পুরুলিয়ার বলরামপুর থানা এলাকায় মাঠে গিয়ে চাষিদের কাছ থেকে চাষের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি ‘দিদিকে বলো’ নিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি”।