স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী নামে খ্যাত শহীদ কানাইলাল ভট্টাচার্য। মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৩১ সালে বিচারক গার্লিককে হত্যার অভিযোগে ব্রিটিশ শাসকদের গুলিতে শহিদ হন এই বিপ্লবী। তবে ইতিহাস বলে, মৃত্যু বরণের পর এই বিপ্লবীর পকেটে এক খন্ড কাগজ পাওয়া যায়৷ যাতে লেখ ছিল ‘ধ্বংস হও, দীনেশ গুপ্তকে ফাঁসি দেওয়ার পুরস্কার লও’। বর্তমান যুগে দেশের জন্য প্রাণত্যাগ করা এই শহীদরা প্রায় বিস্মৃতপ্রায়। বৃহস্পতিবার শহীদ বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের ৮৭ তম আত্মহুতি দিবস পালিত হল জযনগরে। এই দিনটাকেই স্মরণ রাখতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এই মহান সন্তানকে স্মরণ করলো গোটা জয়নগর মাজিলপুরের সর্বস্তরের মানুষ৷
বিনয়-বাদল-দীনেশ-এর কথা আমরা সবাই জানি | কিন্তু বিস্মৃতির পলিতে ঢাকা পড়েছেন কানাইলাল | তিনিও অগ্নিযুগের এক বলিপ্রদত্ত বিপ্লবী | দেশের স্বার্থে‚ বিপ্লবের জন্য নাম-যশ-খ্যাতি কোনও কিছুর পরোয়া করতেন না কানাইলাল ভট্টাচার্যর মতো অগ্নিস্ফুলিঙ্গরা | তাঁর স্মৃতিতে আলিপুরের বেকার রোডের নামকরণ করা হয়েছে বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্য রোড | জন্মস্থান মজিলপুরের একটি রাস্তাও তাঁর নামে নামাঙ্কিত | পৈতৃক বাড়ির সামনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ব্রোঞ্জ মূর্তি | অবশ্য‚ দেশমাতৃকার মুক্তি ছাড়া এসব নিয়ে ভাববার সময় ছিল না কানাইলালদের। যাঁরা আমাদের কালকের দিনের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। বহু যুগ কেটে গেছে তবু আজও জয়নগর মাজিলপুরের ঘরের ছেলে কানাই ‘কানাই’ সকলের কাছে খুবই প্রিয়৷ শহীদ এই বিপ্লবীকে স্মরণ করেই পালিত হল আত্মহুতি দিবস৷ আর এই ভাবেই সমাজের সব অত্যাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই এর শপথ নিল জয়নগরবাসি৷
জন্ম ১৯০৯ সালে ২৭ জুলাই, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর মাজিলপুরে৷ পিতার নাম নগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য৷ ছোটবেলা থেকেই দেশের প্রতি ছিল তাঁর অগাধ ভালোবাসা৷ আর সেই ভালোবাসাই কাল হয়েছিল ব্রিটিশ শাসকদের জন্য৷ বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্য আজও বাঙালিদের কাছে দেশপ্রেমের জ্বলন্ত উদাহরণ৷