একা উষ্ণায়নে রক্ষে নেই, দূষণ দোসর। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে একেই নাজেহাল অবস্থা বিশ্ববাসীর। তার সাথে পাল্লা দিয়ে রোজই বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। এই সাঁড়াশি চাপে বিপদের আশঙ্কা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে সারা বিশ্ব যখন সবুজায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে, চারা গাছ বিতরণ হচ্ছে, বৃক্ষ রোপণ হচ্ছে, তখনই মোদী সরকারের পরিবেশ মন্ত্রক গাছ কাটার নিদান দিয়েছে! মোদীর লক্ষ্য দেশের ‘বিকাশ’। আর সেই স্বার্থেই নাকি গত পাঁচ বছরে দেশজুড়ে এক কোটির উপর গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছিল গত সরকারের পরিবেশ মন্ত্রক।
শুক্রবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে একটি প্রশ্নের উত্তরে পরিবেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন, ২০১৪-২০১৯-এর মধ্যে সারা দেশের প্রায় ১.০৯ কোটি গাছ কাটা পড়েছে। তার মধ্যে শুধু ২০১৮-১৯-এর মধ্যেই ২৬.৯১ লক্ষ গাছ কাটা হয়েছিল, যা এপর্যন্ত সর্বাধিক। কেন্দ্রের সাফাই, বিকাশের স্বার্থেই নাকি যাবতীয় আইন মেনে ওই গাছগুলি কাটার নির্দেশ দিয়েছিল পরিবেশ মন্ত্রক। সংসদে যে তথ্য পরিবেশ মন্ত্রক দিয়েছে তাতে জানা যাচ্ছে, ২০১৪-১৫-র মধ্যে ২৩.৩ লক্ষ, ২০১৫-১৬-র মধ্যে ১৬.৯ লক্ষ, ২০১৬-১৭-র মধ্যে ১৭.০১ লক্ষ এবং ২০১৭-১৮-র মধ্যে ২৫.৫ লক্ষ গাছ কাটা হয়েছিল। এ তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই এখন দেশজোড়া নিন্দার ঝড়ের মুখে পড়তে হচ্ছে মোদী সরকারকে।