লোকসভা নির্বাচনের পর জনসংযোগকে আরও গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই এবার মেদিনীপুর শহরে ৫০ হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে জনসভার ডাক দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে গতকাল দুপুরে জেলা নেতৃত্ব কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে। সেখানে বিশাল এই জনসভা সফল করার ডাক দেওয়া দেওয়া হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সামনের ৯ আগস্ট মেদিনীপুর শহরের কলেজ মাঠে ওই জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। এখন থেকেই জনসভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসার জন্য শাখা সংগঠনের পদাধিকারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনসভায় শুভেন্দুবাবুর বক্তব্য আর বিপুল পরিমাণ জমায়েত জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মুষড়ে পড়া কর্মীদের কাছে ভোকাল টনিক হিসেবে কাজ করবে বলে দলের একাংশ মনে করছেন। তাই জনসভায় বিপুল জমায়েত করার জন্য দলের সমস্ত স্তরের নেতৃত্বকে এখন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জনসংযোগ কর্মসূচি, আক্রান্ত এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মিছিল করার বিষয়ে এদিন কোর কমিটিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, চলতি মাসের শেষের দিকে ব্লকে ব্লকে মিছিল, বুথে বুথে জনসংযোগ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। ৩০ তারিখ আমরা ছেরুয়ায় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তীকালে নারায়ণগড়, গোয়ালতোড় সহ একাধিক জায়গায় আমরা যাব। সেখানে কী কর্মসূচি নেওয়া হবে তা পরবর্তীকালে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে। সামনে ৯ আগস্ট কলেজ মাঠে ৫০ হাজার কর্মী-সমর্থক জমায়েত করব। সেই মতো আমরা দলের সব স্তরের সংগঠনের নেতৃত্বকে এখনও থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছি।
কোর কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ২৬ থেকে ২৯ জুলাই মিছিল ও এলাকায় এলাকায় জনসংযোগ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। বিজেপির হামলায় বহু জায়গায় তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। বহু কর্মী-সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত কর্মীদের পাশে জেলা নেতৃত্বের কোনও প্রতিনিধি দল যেতে পারেননি। কয়েকদিন আগে ছেরুয়া, হাতিহলকা এলাকায় তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, ওই এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা থাকায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল আর সেখানে যেতে পারেননি। এদিন কোর কমিটিতে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এমনকী যে সব এলাকায় বিজেপি সংগঠিতভাবে হামলা চালাচ্ছে, সেখানে মিছিল করে তাদের বার্তা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।