আজ কার্গিল বিজয় দিবস। ২০ বছর হতে চলল এই কার্গিল বিজয়ের। এখনো অবধি পৃথিবীর উচ্চতম স্থানে হওয়া কোনো যুদ্ধ এটিই। ১৯৯৯ সালে কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী কার্গিল জেলায় পাকিস্তানের সেনাদের দুরমুশ করে ভারতীয় জওয়ানরা পুনরুদ্ধার করেন দেশের জমি। তারপর থেকেই এই দিনটিকে স্মরণ করে দেশজুড়ে পালিত হয় কার্গিল বিজয় দিবস।
তবে এখনও চরম তিক্ততায় রয়েছে ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক। সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত শুক্রবার দ্রাসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তারপরেই তিনি ইসলামাবাদকে কড়া ভাষায় সাবধান করে দিয়েছেন, যাতে এই ভুলের পুনরাবৃত্তি কোনও ভাবেই না করে পাকিস্তান। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরাসরি সেনাপ্রধান বলেন, “কার্গিলের মতো কৃতকর্ম যদি ফের পাকিস্তান করে, তাহলে তাঁদের নাক ফাটিয়ে দেওয়া হবে।” বিপিন রাওয়াতের হুঁশিয়ারি, “এরম কিছু করবেন না। সাধারণত এই ধরনের কাজ বারবার কেউ করে না। তবে ফের করলে নাক ফাটিয়ে দেব।” বিজয় দিবসের এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে উঠে মন্তব্য করেন তিনি।
ওঁর পাশাপাশি এদিন বায়ুসেনা প্রধান বীরেন্দ্র সিং ধানোয়া, নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল কর্মবীর সিং দ্রাসেতে শহিদদের শ্রদ্ধা জানান। তাঁরা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন যে, আমরা সর্বদা সত্যের পক্ষে থাকব। কারও বিবৃতি শোনার দরকার আমাদের নেই। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এই কথা বলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে প্রশাসনিক মহলে।
পুলওয়ামা ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত জানান, “সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। এখন আমাদের লক্ষ্য অত্যাধুনিক অস্ত্রভাণ্ডার তৈরি করা। ২০২০ সালের মধ্যে দেশেই তৈরি হবে হাউৎজারস, কে-৯ বজরা।” এদিন তিনি আরও বলেন যে, “এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না। আমি খানিকটা নিশ্চিত যে, পাকিস্তান আর এই কাজ করবে না। আমরা তাদের সাফল্য পেতে দেব না। আমরা সবসময় প্রত্যাঘাত করব। আর পাকিস্তান ফের এমন কাজ করলে, রক্তাক্ত হতে হবে। তারা একই কাজ করার সাহস দেখাবে না।”