মেদিনীপুর সদর ব্লকের ছেড়ুয়ার বামনডাঙা গ্রাম ফের বিজেপির হামলায় উত্তপ্ত। ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। তৃণমূল কর্মীদের মারধর, তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী–সমর্থক রামনগর, রাজারবাগান এলাকায় বিজেপি–র হামলার প্রতিবাদে মিছিল করেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে হাতিহালকায় হামলা চালায় বিজেপি। ৩৪টি বাড়ি, ৪৩টি দোকানে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালায় তারা। মারধর করা হয় তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের। শনিবারও হামলা চালাতে এলে বিজেপি কর্মীদের বাধা দেন তৃণমূল কর্মী–সমর্থকরা।
এর মধ্যেই রবিবার শহিদ সমাবেশে যোগ দিতে কলকাতায় যান তৃণমূল কর্মী–সমর্থকরা। সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী ঘোষণা করেন, যেখানে যেখানে হামলা চালিয়েছে বিজেপি, সেখানে পাল্টা মিটিং–মিছিল করে প্রতিবাদ জানাতে হবে। কিন্তু রবিবার রাতে তৃণমূল কর্মীরা সভা সেরে কলকাতা থেকে গ্রামে ফিরতেই তাঁদের ওপর ফের হামলা চালায় বিজেপি কর্মীরা। অনেকে আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে নদীর চরে, কেউ বালি খাদানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বাড়িতে ভাঙচুর করায় দোকানে লুকিয়ে ছিলেন তৃণমূল কর্মী শেখ মুজিবর। তাঁর দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। কোনও রকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি। তৃণমূল নেতা গণি ইসমাইল জানান, তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হাতিহলকা। তাই বারবার হামলা চালাচ্ছে বিজেপি।