গর্ভবতী যুবতীকে হাসপাতালে স্বামী বলে ভর্তি করেছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার পর কন্যাসন্তানের বাবা হিসেবে নিজেকে দাবি করলেন তিনজন। আর এই ঘটনা নিয়েই ধুন্ধুমার দক্ষিণ কলকাতার গাঙ্গুলিবাগানের এক বেসরকারি হাসপাতাল। এক কন্যাসন্তানের তিন বাবাকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, শনিবার বিকেলে হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ২১ বছরের স্বপ্না মিত্রকে নিয়ে গাঙ্গুলিবাগানের আইরিশ হাসপাতালে আসেন দীপঙ্কর পাল। নিজেকে স্বপ্নার স্বামী বলে পরিচয় দিয়ে গর্ভবতী স্বপ্নাকে সেখানে ভর্তি করেন তিনি। হাসপাতালের বিলেও স্বামী হিসেবে লেখা হয় দীপঙ্করের নাম। স্থানীয় রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা এই দীপঙ্কর। রবিবার অস্ত্রোপচার করে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন স্বপ্না। আর গোল বাধে তার পরেই। রবিবার সকালে হাসপাতালে এসে উপস্থিত হন নিউটাউনের ভিস্তা গার্ডেনের বাসিন্দা হর্ষ ছেত্রী। তিনি এসে বলেন, তিনিই ওই সন্তানের বাবা।
ইতিমধ্যেই নেতাজীনগর থানায় গিয়ে পুলিশে অভিযোগ করেন হর্ষ। পুলিশের তরফে ফোন করা হয় হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পুলিশ যা বলবে তাই করা হবে। এই ব্যাপারে তাঁরা কিছু বলতে পারবেন না। তাঁরা শুধু চিকিৎসার ব্যাপারটাই দেখবেন। কে আসল বাবা তা ঠিক করুক পুলিশ।
ইতিমধ্যেই আরও এক ট্যুইস্ট। সোমবার সন্ধেবেলা প্রদীপ রায় বলে এক ব্যক্তি এসে দাবি করেন, তিনি ওই সন্তানের বাবা। মঙ্গলবার তিনিও লোক নিয়ে আসবেন বলে বেরিয়ে যান। এই বিষয়ে অবশ্য স্বপ্না বা তাঁর মা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা পুলিশের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি। সব মিলিয়ে আতান্তরে পড়েছে হাসপাতাল।
সোমবার সকালে ফের নেতাজীনগর থানার পুলিশ নিয়ে হাসপাতালে আসেন হর্ষ। তিনি এসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তাঁর ও স্বপ্নার ম্যারেজ সার্টিফিকেট দেখান। তিনি বলেন, “আমি ম্যারেজ সার্টিফিকেট দেখিয়েছি পুলিশকে। ও আমার বিবাহিত স্ত্রী। সেখানে অন্য কেউ কীভাবে আসছে আমি বুঝতেই পারছি না। আমি আরও প্রামাণ্য নথি দেব।” দীপঙ্করও জানান, তাঁর কাছেও কাগজ রয়েছে। তিনি মঙ্গলবার কাগজ নিয়ে আসবেন।