নেই কোনও সরকারি অনুমোদন। এমনকী অনুমতি নেওয়া হয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষেরও। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্যের এক সরকারি স্কুল চলছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবির! যে কথা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়াল হাবড়া এলাকায়। দিন কয়েক আগেই জানা গিয়েছিল যে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.এ ইতিহাসের দ্বিতীয় বর্ষের পাঠ্যসূচীতে জায়গা নিতে চলেছে ভারতে জাতি গড়তে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ভূমিকা! যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছিল দেশের তামাম শিক্ষাবিদদের। আর এবার এ রাজ্যের হাবড়ার শ্রীনগর হাইস্কুলের মাঠে গত কয়েক দিন ধরে শিশু-কিশোরদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠল আরএসএসের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে শরীরচর্চা ও জাতীয়তাবাদ শেখানোর আড়ালে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বোনার কাজ চালানো হয়েছে স্কুলে। হাবড়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা নীলিমেষ দাস অভিযোগ কিরে বলেন, ‘হাবড়ার শ্রীনগর হাইস্কুলের মাঠে বেশ কিছুদিন ধরে আরএসএসের একটি প্রশিক্ষণ শিবির চলছে বলে খবর পাওয়ায়, খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারি, এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। শিশু-কিশোরদের শরীরচর্চা এবং জাতীয়তাবাদী শিক্ষার নামে উগ্র সাম্প্রদায়িক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবরার শ্রীনগর হাইস্কুল চত্বরে গত ১০ দিন ধরে স্থানীয় কয়েকজন শিশু-কিশোরকে নিয়ে আরএসএসের প্রশিক্ষণ চলছিল। সকাল ৬টা থেকে থেকে ৭টা পর্যন্ত চলত ওই প্রশিক্ষণ। শ্রীনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভাশিস সাউও বলেছেন, ‘আমি এর আগে আরএসএসের এই ধরনের প্রশিক্ষণ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। এই বিষয়ে জানার সঙ্গে সঙ্গেই আমি বিষয়টি স্কুলের পরিচালন সমিতিকে জানিয়েছি।’ এ নিয়ে জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষের বক্তব্য, ‘আরএসএস এই ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শরীরচর্চার কাজ যেমন করে, তেমনই তার আড়ালে জাতীয়তাবোধের মোড়কে সম্প্রদায় ভিত্তিক বিভেদের বীজ বপন করে শিশু ও কিশোরদের মনে।’