২১ জুলাই রবিবার। তাই তৃণমূলের শহীদ দিবসের সভায় অসংগঠিত শ্রমিকদের ভিড় হবে বেশি। খেতমজুররাও ওই দিন দলে দলে আসবেন। এমনটাই মনে করছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেন, ‘বিরোধীরা ভাবছে রবিবার, তাই লোক কম হবে। আমি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলছি গতবারের তুলনায় এবার আরও বেশি লোক আসবে। অসংগঠিত কর্মীরা দলে দলে আসবেন। নির্বাচনের পর চারদিক গেল গেল রব তোলা হয়েছিল। আমরা পাল্টা কিছু বলিনি। পরিস্থিতি এমনিতেই পাল্টাচ্ছে। বিজেপি-তে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁরা আবার দলে ফিরে আসছেন। ১৯৯৮ সালে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা হয়। ভাল-খারাপ সময় আমরা দেখেছি। তবুও আমাদের দলনেত্রী মানুষের সঙ্গ ছাড়েননি। বরঞ্চ তিনি আরও বেশি করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিজেপি এবার টাকা ছড়িয়ে ভোট করেছে। বহু বুথে ইভিএম খারাপ হওয়ার পর নতুন ইভিএম আনা হয়। কিন্তু মক পোল করার আগেই ভোট শুরু হয়ে যায়। দলনেত্রী মানুষের জন্য দাবি তুলেছেন ইভিএম নয়, ব্যালট ফেরাতে হবে। ভোটের পরিচয়পত্র ছাড়া ভোট নয়, এটা দলনেত্রীর আন্দোলনের ফলে হয়েছে। দলে দলে মানুষ ধর্মতলায় আসবেন। আমাদের এ নিয়ে কোনও সংশয় নেই’।
২১ জুলাইয়ের বাকি মাত্র ৩ দিন। তাই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।প্রতিটি বুথে, বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক-নেতা-নেত্রীরা মিটিং-মিছিল করছেন। প্রত্যেকেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন।
কলকাতার তিনটি স্টেশনে ক্যাম্প করা হচ্ছে। বাইরের জেলাগুলি থেকে যাঁরা আসবেন তাঁরা প্রথমে ক্যাম্পে যাবেন। সেখান থেকে নেতাদের নির্দেশ পেয়ে থাকার জায়গায় যাবেন। স্টেশনগুলি হল – শিয়ালদা, হাওড়া ও কলকাতা। মহানগরী সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকে গাড়ি করে লোক আসবে। সেই গাড়িগুলি কোথায় রাখা হবে তা-ও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। ১৩ জন শহীদ পরিবারের লোকজন উপস্থিত থাকবেন মঞ্চে। এছাড়া নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর থেকেও শহিদ পরিবারের সদস্যদের আনা হবে। তাঁদের সম্মান জানাবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।