অবশেষে কর্ণাটকের বিধায়ক ইস্যুতে রায় দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কর্ণাটকের বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার স্পিকারের ওপরই ছাড়ল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার কর্ণাটকে আস্থা ভোট। তার আগে এই সিদ্ধান্তে বেশ নড়েচড়ে বসেছে দুই পক্ষই। ১৮ জন বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে জলঘোলা চলছে বিগত কয়েকদিন যাবৎ। বিধানসভার স্পিকার তাঁদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করায় সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। তারই রায় দেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ।
আরও বলেন যে, বিধায়কদের হাজিরায় জোর করা যাবে না। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে বিধায়কদের আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, স্পিকার বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রাখতে পারেন না। এক জন রাজনৈতিক দলের সদস্যের মতো আচরণ করতে পারেন না তিনি। বিধায়কেরা স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন কি না তাই কেবলমাত্র দেখা উচিত। রোহতগির অভিযোগ, কর্নাটকে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছে এইচ ডি কুমারস্বামীর সরকার। আর সরকার বাঁচাতেই বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণ করছেন না বিধানসভার অধ্যক্ষ। স্পিকারের সাংবিধানিক ক্ষমতার কথা বলে পাল্টা যুক্তি দেন তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও। তাঁর দাবি, কোনও বিষয়ে নির্দিষ্ট পথে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জন্য স্পিকারকে নির্দেশ দেওয়া যায় না।
কুমারস্বামীর আইনজীবীর রাজীব ধবনের যুক্তি, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফার পিছনে আসলে একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাঁদের সামনে রেখে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। শীর্ষ আদালত যাতে এঁদের কথায় গুরুত্ব না দেয়, সেই আর্জিও জানান ধবন। শীর্ষ আদালতের এই রায়ে কর্ণাটকের বিধায়ক ইস্যুর নতুন মোড় নিল তা বলাই বাহুল্য।