লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে গিয়েও বীরভূমের মহম্মদবাজারের রামপুর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে ব্যর্থ হল বিজেপি। ভোট মিটতেই পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে কাজ শুরু করার কথা এই এলাকায়। তবে এই নিয়ে বেশ কদিন ধরেই এই ইস্যু নিয়ে উত্তেজনা ছিল এলাকায়। অবশেষে আজকে ‘লটারি’-র মাধ্যমে সমস্যার নিষ্পত্তি ঘটে। ‘লটারি’-তে জিতে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করল তৃণমূল।
তৃণমূল ও বিজেপির আসনসংখ্যা সমান। লোকসভা ভোটের আগে পর্যন্ত মহম্মদবাজারের রামপুর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল। রামপুর পঞ্চায়েতের প্রধান হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সরস্বতী হাঁসদা ও বিজেপির স্বপন মুখোপাধ্যায়। দু’জনের নামে ছয়টি করে চিরকুট রাখা হয় একটি বাক্সে। স্থানীয় এক কিশোর বাক্স থেকে সরস্বতী হাঁসদা নাম লেখা চিরকুটটি তোলে। লটারিতে জিতে যায় ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের টাকার লোভ দেখিয়ে ও ভয় দেখিয়ে দলে টানার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা আস্থা রেখেছিলেন গণতন্ত্রে। তাই রামপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূলেরই জয় হল।’ এদিকে রামপুর পঞ্চায়েতের দলের নির্বাচিত সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বরং বিজেপি ও তৃণমূল উভয় দলের আসন সংখ্যা তিন। ৬ আসনের পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করা যাচ্ছিল না। শেষপর্যন্ত শুক্রবার লটারির মাধ্যমে বীরভূমের মহম্মদবাজারের রামপুর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল তৃণমূলই। মহম্মদবাজারের বিডিও আশিস মণ্ডল জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডও গঠন করা হবে।