ক্ষমতায় এসেই রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রে জোয়ার এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আমলে রাজ্যে যেমন গড়ে উঠেছে একাধিক শিল্পতালুক, তেমনি এসেছে ভুরিভুরি বিদেশি লগ্নীও। বাংলার উন্নত শিল্প পরিকাঠামো দেখেই এবার আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে শিলিগুড়ি ও আসানসোলে দু’টি বৃহৎ সস্তার আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৃষ্টি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। দু’টি প্রকল্পেই ১০ লক্ষ বর্গফুট জুড়ে সস্তার আবাসন গড়ে তোলার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এর মধ্যে শিলিগুড়িতে নির্মাণ কাজ ২০২২ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সৃষ্টি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল ঝা।
বৃহস্পতিবার সুনীল বলেন, ‘আসানসোল ও শিলিগুড়িতে যথাক্রমে ৬০ লক্ষ ও ৩০ লক্ষ বর্গফুট আমরা নির্মাণ করব। এর মধ্যে প্রত্যেকটিতে ১০ লক্ষ বর্গফুট সস্তার আবাসন গড়ার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। শিলিগুড়ির প্রকল্পটির নির্মাণ ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আমাদের আশা। তবে আসানসোলের প্রকল্পটি শেষ হতে তার পরে আরও দু’তিন বছর লাগতে পারে।’ সুনীল এ-ও জানিয়েছেন যে, শিলিগুড়িতে তারা ১২০ বর্গমিটারের সস্তার আবাসন গড়ার পাশাপাশি শিল্পতালুক নির্মাণ করবেন এবং ওই প্রকল্পে জায়গা নিতে ইতিমধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছে মারুতি সুজুকি, স্লিপওয়েল, ম্যানকাইন্ড ফার্মার মতো সংস্থা। জানা গেছে, আসানসোল ও শিলিগুড়িতে যথাক্রমে ২,০০০ কোটি ও ১,০০০ কোটি টাকা লগ্নি করবে সৃষ্টি।
সংস্থার চিফ মার্কেটিং অফিসার অভিষেক ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, ‘সস্তার আবাসন প্রকল্পের যা সরবরাহ তার তুলনায় চাহিদা বহুগুণ। কিন্তু, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জমি কিনতে যা খরচ হয়, তাতে বাস্তবে সস্তার আবাসন প্রকল্প গড়া সম্ভব হয় না। সেই কারণেই আসানসোলে আমরা ৬০ বর্গমিটারের সস্তার আবাসনের দাম রেখেছি ১৮ লক্ষ টাকা। কোনও সম্ভাব্য ক্রেতার মাসে ৪০,০০০ টাকা আয়ের ভিত্তিতে তিনি গৃহঋণ নিলে তিনি ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক কিস্তি দিতে সক্ষম। সেই হিসাবে করে আমরা রীতিমতো সমীক্ষা চালিয়ে আসানসোলে ইউনিট প্রতি দর ১৮ লক্ষ টাকা রেখেছি।’