রক্ষকই যখন ভক্ষক হয়ে ওঠে তখন সর্বনাশের শেষ থাকে না। সন্তানরা চাকুরিরতা, বৃদ্ধা মাকে নার্সের ভরসায় বাড়িতে রেখে যেতেন। কিন্তু বয়স্ক অসুস্থ রোগীকে শুশ্রূষার বদলে প্রায়শয়ই মারধর করতেন অভিযুক্ত নার্স সংযুক্তা পাইক৷ অভিযোগ পেয়ে তাঁকে আটক করে পুলিশ৷
পাটুলির ঘোষপাড়া লেনের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা বছর পঁচাশির সুকুমারী সাহা৷ ছেলে, মেয়ে দুজনেই চাকরি করেন৷ দিনভর বাড়িতে থাকতে পারেন না৷ এদিকে মায়েরও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থতা বাড়ছে৷ তাই সারাদিন মায়ের খেয়াল রাখতে একজন প্রশিক্ষিত নার্সকে নিয়োগ করেন সুকুমারী দেবীর ছেলেমেয়ে৷ সংযুক্তা পাইক নামে ওই নার্স মাস চারেক ধরে সুকুমারী দেবীর দেখভালের দায়িত্বে বহাল৷
আচমকা একদিন সুকুমারী দেবীর মেয়ের চোখে পড়ে, মায়ের হাতের বিভিন্ন জায়গায় কালশিটে৷ খটকা লাগে মেয়ের৷ অসুস্থ মায়ের সঙ্গে কথা বলে আভাস পান, তাঁর সেবার দায়িত্বে থাকা নার্সের ভূমিকা মোটেই সন্তোষজনক নয়৷ বরং বেশ সন্দেহজনক৷ সন্দেহ নিরসনে ছেলেমেয়ে মিলে সুকুমারী দেবীর ঘরে সিসিটিভি বসান৷ নার্সের উপর নজরদারি শুরু হয়৷ আর তাতেই সত্যিটা জলের মতো স্পষ্ট হয়ে যায়৷ সিসিটিভি ফুটেজে জ্বলজ্বল করছে দৃশ্য – নার্স সংযুক্তা বৃদ্ধার সেবার পরিবর্তে তাঁকে মারধর করছেন, কখনও জোর করে পাশ ফিরিয়ে দিচ্ছেন৷ এসব দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি সুকুমারী সাহার মেয়ে৷ পাটুলি থানায় সংযুক্তা পাইকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের হাতে ধৃত সংযুক্তা৷ আইন মেনে তাঁর উপযুক্ত শাস্তিও হবে৷