মঙ্গলবার বিশ্বকাপের ম্যাচে আফগানিস্তানকে হেলায় হারালো আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড। একইসঙ্গে এদিন আফগানদের বিরুদ্ধে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ইয়ন মর্গ্যান। একদিনের ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বাধিক ছয় মারার নজির গড়লেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। মর্গ্যানের দুরন্ত ১৪৮, রুট ও বেয়ারস্টোর হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৯৭ রান করে ব্রিটিশরা। স্বাভাবিকভাবেই এই বিশাল রান চেজ করা সম্ভব হয়নি আফগানদের পক্ষে। এদিন তাঁদের ১৫০ রানে হারাল ব্রিটিশরা।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আজ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। শুরুতে ভিন্স ২৬ রানে ফিরে গেলেও বেয়ারস্টো-রুট জুটি ইংল্যান্ডের ভিত গড়ে দেন। বেয়ারস্টো ৯০ রানে ফিরে গেলে ঝড় তোলেন মর্গ্যান। মাত্র ৫৭ বলে এদিন শতরান করেন ইয়ন মর্গ্যান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা চতুর্থ দ্রুততম। এদিন শেষ পর্যন্ত ৭১ বলে ১৪৮ রান করেন তিনি। আফগানদের বিরুদ্ধে ইয়ন মর্গ্যান ১৭টি ছক্কা হাঁকান। একইসঙ্গে ভারতের রোহিত শর্মা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডিভিলিয়ার্সকে পেছনে ফেলে দিলেন মর্গ্যান। তিন জনেই একটি ম্যাচে ১৬টি করে ছয় মেরেছিলেন। রুট ৮৮ রানে ফিরে যান।
শেষ দিকে ৯ বলে ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন মঈন আলি। গোটা ম্যাচে ২৫টি ছক্কা মারেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। একদিনের ক্রিকেটে কোনও দলের এটাই সর্বাধিক ছয় মারার নজির। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে এদিন ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে ৩৯৭ রান তোলে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে যা সর্বোচ্চ। আফগানিস্তানের হয়ে গুলবাদিন নইব ও দওলত জারদান ৩টি করে উইকেট নেন।
৩৯৮ রানের বিরাট টার্গেট চেজ করতে নেমে শুরুতেই নূর আলি শূন্য রানে ফেরেন। এরপর গুলবাদিন নইব(৩৭),রহমত শাহ(৪৬), আসগর আফগান (৪৪), হাসামাতুল্লাহ (৭৬) করেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রান তোলে আফগানিস্তান। ১৫০ রানে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে আদিল রশিদ ও জোফ্রা আর্চার ৩টি করে উইকেট পান। ২টি উইকেট তুলে নেন মার্ক উড। ৫টি ম্যাচের মধ্যে ৪টি জিতে আজ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এল ইংল্যান্ড এবং সেমিফাইনাল খেলার দিকে আরো একধাপ এগিয়ে গেল মর্গ্যান ব্রিগেড।