এনআরএসে জুনিয়ার ডাক্তারের ওপর হামলার প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে অচলাবস্থা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায়। জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে হাসপাতালগুলির সব পরিষেবা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছিল। বিপাকে পড়েছিলেন চিকিৎসা করতে আসা একাধিক রোগী ও তাঁদের পরিজনরা। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে উঠে যায় এই কর্মবিরতি। আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। কিন্তু নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ কোনও অগ্রাধিকার পেল না আইএমএ। শীর্ষ আদালত এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সাধারণ মানুষকে অবহেলা করা যাবে না। দেশের আইন শৃঙ্খলার সঙ্গে কোনওরকম সমঝোতা বরদাস্ত করা হবে না।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের এই অচলাবস্থা ও নিরাপত্তার দাবিতে ডাক্তারদের কর্মবিরতির আঁচ গিয়ে পড়েছিল বাইরের রাজ্যগুলিতেও। আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন এইমস-এর ডাক্তাররা। এরই মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল আইএমএ (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)। মামলাটি করেন আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব। আইএমএ-এর তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারকে দেশের চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেওয়া হোক।
কিন্তু এদিন শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও পরিস্থিতিতেই ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে অবহেলা করা চলবে না। আইনকে বাজি রাখা যাবে না। মুমুর্ষু রোগীরা রাস্তায় পড়ে রয়েছে, বিনা চিকিৎসায় রোগীমৃত্যু হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া হবে না। দেশের আইন শৃঙ্খলার সঙ্গে সমঝোতা অসম্ভব বলে জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। এই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ব্ল্যাঙ্ককেট অর্ডার’ পাস করা এখনই যাবে না। বরং এই মামলায় দীর্ঘ আলোচনার পরই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে। আগে রোগীদের সুরক্ষা তারপর বাকি কিছু এমনই ইঙ্গিত শীর্ষ আদালতের।