গত ২৩ মে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে তারা। যার ফলে দিকে দিকে বিজেপির গুণ্ডাবাহিনীর হাতে খুন হচ্ছেন একের পর এক তৃণমূল কর্মী। এবার যেমন দলীয় কার্যালয়ের সামনেই খুন হলেন খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাত্র (৫৬)। লাঠি, বাঁশ, রড দিয়ে তাঁকে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে জানা গেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির দুষ্কৃতীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
প্রসঙ্গত, খানাকুল থানার হরিশ্চক গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে শনিবার রাত ৮টা নাগাদ। খবর পেয়েই উত্তরপাড়া থেকে খানাকুলে রওনা দেন আরামবাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা দিলীপ যাদব। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা বাইকে চেপে এসে বেধড়ক মেরে খুন করেছে মনোরঞ্জনকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল পার্টি অফিসের সামনে মনোরঞ্জনকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। লাঠি-বাঁশ দিয়ে শুরু হয় এলোপাথাড়ি মার। তাঁর চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ছুটে এলেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনীও। দিলীপ যাদব বলেন, ‘আমি খানাকুলে রয়েছি। নিহত তৃণমূল কর্মী মনোরঞ্জন পাত্রর ছেলেরা আমার সঙ্গে রয়েছেন। বিজেপির দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সাংগঠনিক, প্রশাসনিক এবং আইনি পথেই আমরা এর মোকাবিলা করব।’