এবারের লোকসভা ভোটে পরপর তিনবার জয়লাভ করলেন শতাব্দী রায়। তিনি এই জয় উৎসর্গ করেছেন মানুষকে। ফলপ্রকাশের পরে সাঁইথিয়া বিধানসভার কর্মীদের নিয়ে কৃতজ্ঞতা বৈঠক করলেন তিনি। ভোটের ফল প্রকাশের পরে সাইথিয়াতেই প্রথম কৃতজ্ঞতা বৈঠক করলেন তিনি।
সিউড়ি কড়িধ্যা গ্রামে কর্মীদের বললেন, “আমি চারটি বিধানসভায় পিছিয়ে আছি। এই হারও আমারও। কিন্তু হার থেকেই আবার আমরা জয়ের মুখ দেখব। সেটাই আনন্দ”। তিনি আরও জানাচ্ছেন, মানুষ তৃণমূলের পাশে আছেন। আস্থা রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নেই।
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় জয়ী হলেও পিছিয়ে আছেন সাতটির মধ্যে চারটি বিধানসভায়। তার মধ্যে সাঁইথিয়া ও সিউড়ি বিধানসভা। দুটি সভাতেই কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন শতাব্দী। ভোটের পরে দলবদল নিয়ে শতাব্দী বলেন, “যারা অন্য দলে যাচ্ছেন তারা টাকার জন্য যাচ্ছেন। কিছুদিন পরেই তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন”।
সিউড়িতে বলেন, ”ব্লক সভাপতি স্বর্ণময় সিং বলেছেন তিনি মীরজাফরদের চিহ্নিত করেছেন। আমি প্রশ্ন করি ভোটের আগে করেননি কেন। কেউ যদি অন্যদলে যান, সম্মানের সঙ্গে যান। পরে বুঝবেন গিয়ে কী হল। কিন্তু দলে থেকে বেইমানি করবেন না।” নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী শতাব্দী বলেন, ”ভগবান আমাকে অহংকারী করেননি। ৩০০ সিনেমার নায়িকা হিসাবে আমার যা পজিশন কোথাও আমি অহঙ্কার দেখাইনি। আমার সঙ্গে সবসময় দেখা করা যায়। একটা সিরিয়াল করা মেয়ে দেখবেন চারটে নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরছে। কিন্তু আমি সেই ইচ্ছে দেখাইনি। দেখাবও না। মানুষের জন্যে কাজ করতে এসেছি সবসময় তাঁদের সঙ্গে থাকব”।
দুই জায়গাতেই শতাব্দী কর্মীদের বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে চলার কথা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যেমন সবাইকে নিয়ে চলতে ভালোবাসেন তেমনই করেই যেন সকলে একসঙ্গে থেকে দলের কাজ করেন। অনুব্রত মণ্ডল, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশ রায়চৌধুরি, চন্দ্রনাথ সিং-সহ জেলার সকলেই আমরা আপনাদের পাশে আছি। আবার আমাদের জয় হবেই।