গত ১০ ই জুন এনআরএস কান্ডের পর কেটে গিয়েছে তিনদিন। আন্দোলন ধীরে ধীরে এনআরএস এর গন্ডি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে কলকাতা, এমনকি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতালেও। তবে এখনও জারি রয়েছে অচলাবস্থা। বর্তমান পরিস্থিতিও স্বাভাবিক নয়। তবে আজ থেকে এনআরএস হাসপাতালের জরুরি বিভাগ খুলল। কিন্তু আউটডোর খোলার সম্ভাবনা এখনও অবধি দেখা যায়নি।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার এসএসকেএমের জরুরি বিভাগ খুলে দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সেই রাস্তাতেই হাঁটল এনআরএস ও। কলকাতা ও জেলার প্রায় সমস্ত হাসপাতালেই শুক্রবার খোলা থাকবে জরুরি বিভাগ। তবে, জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখছেন। পরিষেবা দিচ্ছেন কেবল সিনিয়র ডাক্তাররাই। কিন্তু বাকি সব বিভাগেই কর্মবিরতি চলবে বলে খবর। কারণ উত্তেজনার আঁচ একটুও কমেনি। বহির্বিভাগ এখনও বন্ধ। সরকারি হাসপাতাল তো বটেই, কলকাতার বেশ কয়েকটা বেসরকারি হাসপাতালেও আউটডোর বয়কট করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
এর আগে বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছিলেন এনআরএসের সুপার ও প্রিন্সিপাল। সূত্রের খবর, নিজেদের ইস্তফাপত্রে তাঁরা স্পষ্টতই উল্লেখ করেছেন, প্রায় চারদিন ধরে চিকিত্সকদের কর্মবিরতি, রোগীদের যথাযথ পরিষেবা দিতে না পারা–এসবের দায় তাঁদেরই। পরিস্থিতির অচলাবস্থা কাটাতে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন। আর সেই ব্যর্থতার জন্যই নিজেদের পদে থাকাটা তাঁরা আর শোভনীয় মনে করছেন না। সেই কারণেই ইস্তফা। এনআরএসের সুপার ও প্রিন্সিপাল ছাড়াও সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৬৮ জন সিনিয়র ডাক্তারও গতকাল ইস্তফাপত্র পেশ করেছিলেন।