বৃহস্পতিবার দুপুরে আরামবাগ নেতাজি মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হুগলি জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে এক সভার আয়োজন করা হয়। কলেজে পরীক্ষা চলায় মাইক ব্যবহার করা হয়নি। এমন সময়ে একদল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী এসে ওই অনুষ্ঠানে এসে হামলা চালায়। যার জেরে জখম ২০।
তৃণমূলের অভিযোগ, অনুষ্ঠান চলার সময়ে আচমকাই ওই দুষ্কৃতীরা মঞ্চে উঠে চেয়ার–টেবিল ভাঙচুর করতে শুরু করে। সভাস্থলে থাকা বাইকগুলি ভেঙে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আরামবাগের এসডিপিও কৃশানু রায়। আরামবাগ থানার আইসি পার্থসারথি হালদারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনীও ঘটনাস্থলে আসে। এরপর বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বও ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আহতদের আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জয়া দত্তের অভিযোগ, ‘অনুষ্ঠান চলাকালীন এক দল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী মদ্যপ অবস্থায় লাঠিসোটা নিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে দিতে তৃণমূল নেতা–কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। মহিলাদের ওপর অত্যাচার করা হয়। বেধড়ক মারধর করা হয়।’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। এই ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্যস্তরের কয়েকজন নেতা–সহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আবিররঞ্জন নিয়োগী, হুগলি জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোর কমিটির সদস্য পল্লবী ঘোষ, রিষড়া বিধানচন্দ্র কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ খান প্রমুখ।