শুক্রবার কাঁচড়াপাড়ায় তৃণ্মূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়ে থাকল বাংলা ও বাঙালিদের কথা। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বাংলায় থাকতে হলে, কথা বলতে হবে বাংলায়। মমতার কথায়, ‘আমি যখন উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পাঞ্জাবে যাই, তখন সেখানের ভাষায় কথা বলি৷ বাংলায় থাকতে হলে, কথা বলতে হবে বাংলায়’৷
এদিনের সভায় মমতা বলেন, ‘বাংলা থেকে বাঙালিদের হটানোর চেষ্টা চলছে, তা করতে দেওয়া যাবে না। নৈহাটি, জগদ্দল, ভাটপাড়ায় বাঙালিদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, ঘর ভাঙা হয়েছে।‘ তিনি আরও বলেন, ‘কেন সংখ্যালঘুদের ভয় দেখাচ্ছে? বাংলায় থেকে বাঙালিকে ভয় দেখাবে, আমরা বরদাস্ত করব না। বিজেপি জাত-ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করছে’। মমতার কথায়, ‘বাঙালিদের ঘর ভাঙা চলছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। আমি কখনও হিন্দিভাষীদের ঘর ভাঙতে যাইনি। বাঙলায় থেকেই বাঙালি হঠাওয়ের চেষ্টা চলছে। তা হতে দেব না’।
এদিন দলবদল নিয়েও মুখ খোলেন তৃণমূল নেত্রী। জোরের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যাঁদের চলে যাওয়ার তাঁরা চলে যান৷ এতে তৃণমূল দলটা শুদ্ধ হবে৷ এখনও দু’বছর আমাদের সরকার রয়েছে’৷ বিজেপিকে কড়া ভাষায় নিশানা করেন মমতা। নাম না করে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘ভোটের পরই শুরু হয়েছে সন্ত্রাস৷ কিছু অশুভ শক্তির নজর পড়েছে বাংলায়৷ সন্ত্রাসী, মৌল উগ্রপন্থী, অর্ধসত্যি, উন্মত্ত সন্ত্রাস শুরু হয়েছে৷ বাংলায় থাকব৷ বাইকে করে এসে গুন্ডামি করব আমরা শুনব না’৷ গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘বাংলায় কিছু অশুভ শক্তির নজর পড়েছে। বাংলাকে গুজরাট বানাতে দেব না। ভোটের পরই রাজ্যজুড়ে অশান্তি, তাই পথে নেমে ফের প্রতিবাদ করতে হবে’।