‘জানেন সেদিন কে এনআরএস -এ ভাষণ রাখছিল, গেট আটকেছিল? জানেন কেন আমি বলেছি বহিরাগত আছে? সেদিন এনআরএস-এ যে ছেলেটা বক্তব্য রাখছিল, খোঁজ নিয়ে দেখুন তার নাম দীপক গিরি। সে ক্যালকাটা হার্ট রিসার্চ সেন্টারে গত ১০ বছর ধরে চাকরি করছে। বলুন তো, সে কীভাবে এনআরএস-এর জুনিয়র ডাক্তার হয়?’ শুক্রবার কাঁচড়াপাড়া কর্মীসভায় বক্তব্য পেশ করার সময় এভাবেই বহিরাগতদের নাম ঠিকানা খোলসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সভায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘আমি বলিনি সবাই বহিরাগত। তবে কিছু বহিরাগত যে রয়েছে, সেটা আমি বলেছি।‘ সংবাদমাধ্যমে বাড়িয়ে খবর দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মমতা বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে দেখুন আপনারাই, ওই ছেলেটা কোন দলের হয়ে কাজ করে? তাহলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, আমি কেন ওই কথাগুলো বলেছি’।
এদিনের সভায় নাম না করে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের উদ্দেশ্যে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বাংলাকে গুজরাত হতে দেব না। বাংলায় কেউ বাইকে চেপে এসে বাঙালিদের হুমকি দিয়ে যাবে তা মেনে নেব না’। মমতা প্রশ্ন তোলেন, ‘সংখ্যালঘুদের বাড়িতে অত্যাচার হচ্ছে কেন? বাঙালিদের বাড়িতে অত্যাচার হচ্ছে কেন?’ তার সাফ কথা, ‘বাংলায় থাকব আর বাঙালিদের হুমকি দেব, সেটা হবে না’।
রাজ্যে বিজেপি সন্ত্রাস চালাচ্ছে, তৃণমূলের পতাকা পোড়াচ্ছে, পার্টি অফিস ভাঙচুর করছে অভিযোগ করে মমতা বলেন, ‘এদিনের কর্মিসভার জন্য রাস্তায় লাগানো দলীয় পতাকা কারা খুলে নিয়েছে তা তদন্ত করে তিনদিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে পুলিশকে’।
গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘ভোটের পরই শুরু হয়েছে সন্ত্রাস৷ কিছু অশুভ শক্তির নজর পড়েছে বাংলায়৷ সন্ত্রাসী, মৌল উগ্রপন্থী, অর্ধসত্যি, উন্মত্ত সন্ত্রাস শুরু হয়েছে৷ বাংলায় থাকব৷ বাইকে করে এসে গুন্ডামি করব আমরা শুনব না৷’ গেরুয়া শিবিরকে প্রতিরোধ করতে দলীয় কর্মীদের সংগঠন আরও মজবুত করে তোলার আহ্বান জানান মমতা।