কথা চলছিলো, এইবার সেই কথা মতো আলিপুর চিড়িয়াখানায় আনা হল অ্যানাকোন্ডা। আফ্রিকা জঙ্গলের স্বাদ পেতে গেলে পাড়ি জমাতে হবে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। বৃহস্পতিবার শহরে এসে পৌঁছেছে এই নতুন অতিথিরা। ‘মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্ক’ থেকে সড়কপথে চারটি অ্যানাকোন্ডাকে নিয়ে আসা হয়েছে।
আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর আশিস সামন্ত বলেন,‘অ্যানাকোন্ডাগুলি হলুদ এবং কালো রঙের। লম্বায় চার থেকে সাড়ে চার ফুটের কাছাকাছি। সবক’টিই প্রাপ্তবয়স্ক। আপাতত এগুলিকে দর্শকদের সামনে নিয়ে আসা হবে না। নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সেগুলিকে তাদের খাঁচার পাশে একটি ঘরে এক মাস রাখা হবে। খেতে দেওয়া হবে ছোট ইঁদুর।’
এদিন চিড়িয়াখানায় যান রাজ্যের বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অন্য জন্তুদের সঙ্গে তিনি অ্যানাকোন্ডাগুলিও পরিদর্শন করেন। ছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটির মেম্বার সেক্রেটারি ভি কে যাদব। আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর জানিয়েছেন, পরিদর্শনের পর মন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। চিড়িয়াখানাটিকে আরও উন্নত করার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। এদিন জংলি কুকুর আনার বিষয়টি নিয়ে বনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান। এর আগে রাজ্যের দুটি চিড়িয়াখানাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ভারতের প্রথম ‘ভারচুয়াল অ্যানিম্যাল পার্ক’ তৈরি করার কথা পাকা হয়েছিল। দুটির মধ্যে একটি অবশ্যই আলিপুর চিড়িয়াখানা। এইভাবে বিশ্বের এই অন্যতম চিড়িয়াখানাকে নতুন রূপে তৈরি করার উদ্যোগ সত্যিই নজরকাড়া।