ভোট মিটে গেলেও অব্যাহত ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস। গেরুয়া আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা এ যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফের হুগলীতে আক্রান্ত তৃণমূল। ভাঙচুর করা হল তৃণমূলের পার্টি অফিস। অভিযোগের তির উঠল সেই বিজেপির দিকে।
গতকাল হুগলীর আরামবাগের চাঁপাডাঙায় লুঠপাট চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শাসকদল তৃণমূলের কার্যালয়ে গিয়েও তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বিজেপি নেতা মহারাজ নাগের নেতৃত্ব এলাকার দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। দোকানে দোকানে লুঠপাটের কথাও জানিয়ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
দু-তিনদিন আগেই মুকুল রায় দাবি করেছিলেন, হুগলীর আরামবাগের চাঁপাডাঙা ও তালপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে চলে গিয়েছে। পরদিন পালটা সাংবাদিক বৈঠক করে যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মিথ্যে বলছেন মুকুল। দিল্লিতে নম্বর বাড়াতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘যাঁর মাথার ওপর সিবিআইয়ের খাঁড়া ঝুলছে, যিনি নিজের পিঠ বাঁচাতে দল পরিবর্তন করেন, তিনি দিল্লিতে নিজের নম্বর বাড়াতেই মিথ্যা খবর পরিবেশন করছেন। তাঁর কথার কোনও ভিত্তি নেই।’ অভিষেকের দাবি, ‘যাঁদের নাম বলা হয়েছে, তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যাননি। এক-দু’জনকে নিয়ে যেতে পারে, তার পর বলা হচ্ছে পঞ্চায়েত আমাদের দখলে।
এই হিংসাত্মক ঘটনা বারবার ঘটে চলেছে। কোথাও ভাঙচুর করা হচ্ছে দলীয় কার্যালয়, কোথাও গুলিবিদ্ধ হচ্ছেন তৃণমূল কর্মী, কোথাও বা পোড়ানো হচ্ছে জাতীয় পতাকা। সব মিলিয় বাংলা জুড়ে সন্ত্রাসরাজ স্থাপনের কুচেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির।