প্রশাসন জুনিয়ার ডাক্তারদের হেনস্থার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু রোগীদের চিকিৎসা না করে আন্দোলন করা যাবে না। অপেক্ষারত রোগীদের মুখের দিকে তাকিয়ে দ্রুত সবাই কাজে ফিরুন। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে এই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে ওই বার্তায় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের রাজনৈতিক প্ররোচনা এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে রোগীর পরিবারের সঙ্গে এনআরএস-এর চিকিৎসকদের সংঘর্ষ হয় সোমবার রাতে। তখনই গুরুতর আহত হন পরিবহ মুখোপাধ্যায় ও যশ টেকওয়ানি নামে দুই ইন্টার্ন ছাত্র। এরপরেই জুনিয়ার ডাক্তারেরা আন্দোলনে নামেন। বন্ধ হয়ে যায় পরিষেবা। এমন অবস্থা চলতে থাকে টানা ৩ দিন। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে এসএসকেএম হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে আন্দোলন তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ফেসবুকে এই বার্তা দিয়েছেন তিনি।
আন্দোলনরত এই চিকিৎসকদের বেশিরভাগই বহিরাগত জানিয়ে মমতা এই ফেসবুক বার্তায় জানিয়েছেন, যখন তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে যান, সেসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বহিরাগতরা তাঁকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দিচ্ছিলেন। মমতার অভিযোগ, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বন্ধ রেখে সাইলেন্স জ়োনে তারস্বরে স্লোগান দিতে থাকেন কয়েকজন ‘বহিরাগত’। এনআরএসে জুনিয়র ডাক্তারদের হেনস্থাকারীদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জামিনের আবেদনও খারিজ হয়েছে বলে ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে যে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা, তারও পূর্ণ তদন্ত হবে বলে ফেসবুকে লিখেছেন মমতা।
মমতা স্পষ্ট জানিয়েছেন, আহত ডাক্তারদের চিকিৎসার সমস্ত ভার নিয়েছে রাজ্য। প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। তা সত্ত্বেও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি আন্দোলনকারীদের প্ররোচনা যোগাচ্ছে। পাশাপাশি পরিষেবা চালু রাখার জন্য সিনিয়র ডাক্তারদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।